
আব্দুল আলিম খান, পটুয়াখালী
পটুয়াখালী বাউফল উপজেলায় আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন কাশিপুর গ্রামের মো. দেলোয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে অন্যের জমি জালিয়াতি করে নিজের নামে রেকর্ড করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তি মো. শামীম হোসেন, ওই ভুমি দস্যু দেলোয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আমলি আদালতে মামলা দায়েরসহ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জমির প্রকৃত মালিক পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাঁইশদা ইউনিয়নের বাসিন্দা মৈয়ফুল বিবির। তার ওয়ারিশদের বাদ দিয়ে ভুয়া ওয়ারিশ দেখিয়ে মো. দেলোয়ার, জসিম, ধলাই, জাফর হাওলাদার, উভয় পিতা মৃত হাতেম আলী হাওলাদার, মোঃ জলিল, ফিরোজ, কামাল, পিতা মৃত তাজেম আলী হাওলাদার, মোঃ জুলহাস, পিতা জয়নাল হাওলাদার তারা নিজেদের নামে গোপনীয় ভাবে রেকর্ড করে। বাউফল উপজেলায় আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের উপজেলার কাশিপুর গ্রামের জে এল ১০৭ মৌজা কাশিপুর আরএস খতিয়ান ১২১ অনুযায়ী, ষোলআনা জমির নিলাম ক্রয় সূত্রে মালিক হচ্ছেন- মৈয়ফুল বিবি ও তার ওয়ারিশগণ। কিন্তু তাঁর ওয়ারিশদের বাদ দিয়ে জালিয়াতি করে ভুয়া দুই ছেলে দেখিয়ে ওয়ারিশ সাটিফিকেট তৌরি করে, কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় জালিয়াতি করে তাদের নিজেদের নামে গোপনীয় ভাবে জমির নামজারি করিয়ে নেয়। ষোলআনা জমির মালিক মৈয়ফুল বিবির ওয়ারিশদের দখলীয় জমিতে দোকান ঘর করিয়া ভাড়া দেয়, ওই জমিতে ভূমিদস্যু দেলোয়ার বাহিনী তাদের ভুয়া ওয়ারিশ সাটিফিকেট রাঙ্গাবালী বড়বাইশদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্যাড ব্যবহার করে এবং বাউফল উপজেলার ১৩ নং আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শামসুল হক ফকিরে পরিষদের সিল স্বাক্ষর দিয়ে জালিয়াতি কাগজপত্র বানিয়ে নেয়। এই জালিয়াতি কাগজ দেখিয়ে কাশিপুর বাজারের দোকান ঘর দখলে নেয়ার চেষ্টা করলে জালিয়াতির বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে জমির প্রকৃত মালিক ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী জেলা আদালতে জালিয়াতির মামলা করেন। মামলা তদন্তের জন্য বাউফল থানা অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আদাবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শামসুল হক ফকির বলেন, আমি স্বাক্ষর করি নাই, ওরা নিজেরা স্বাক্ষর দিয়ে এ কাজ করেছে।’