
আকতারুল ইসলাম আকাশ,ভোলা
ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চর মনষা গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি ধর্ষক আব্দুর রহিমসহ ৩জনের বিরুদ্ধে ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতা।
১১ অক্টোবর এডভোকেট বিবি জোবায়েদ (পাপন) বাদীর পক্ষ থেকে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-২৭৬/২০। মামলার ৩ আসামি হলেন, ১। রাজাপুর ইউনিয়নের চর মনষা গ্রামের নাসির কাজীর ছেলে আব্দুর রহিম (২৬), ৩। একই গ্রামের হাছান চৌকিদারের ছেলে জনতা বাজারের ইলেকট্রনিক শ্রমিক আলামিন ও ধর্ষক রহিম এর আপন ছোট ভাই কামরুল (২৪)।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২৮ জুলাই মামলার প্রধান আসামি ধর্ষক আব্দুর রহিম ধর্ষিতাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখান করে কিশোরী। এর একমাস পর ২৮শে আগষ্ট রহিম কিশোরীর বাড়িতে এসে তাকে ঘরে একা পেয়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলে ২৮ সেপ্টেম্বর আবারও রহিম তার সাথে যোগাযোগ করে। তখন কিশোরী ঢাকার সাভারে তাঁর বোনের ভাড়া বাসায় অবস্থান করছে বলে মুঠোফোনে জানায়। এ সুযোগে রহিম ৩০ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীর দেয়া ঠিকানায় গিয়ে সাদা কাগজে কিশোরীর স্বাক্ষর নিয়ে রহিম তাকে বিবাহ করেছে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেসময়ও তাকে ধর্ষণ করে।
এর কিছুদিন পর কিশোরী ধর্ষক রহিমের প্রতারণা বুঝতে পেরে তার কাছ থেকে বিয়ের কাবিননামা চাইলে ছটকিয়ে পড়েন ধর্ষক আব্দুর রহিম।
কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে ১১ অক্টোবর আব্দুর রহিমকে প্রধান আসামি করে ৩জনের বিরুদ্ধে ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৯ এ মামলা দায়ের করেন কিশোরী।
এদিকে মামলা দায়ের পর থেকে ধর্ষিতা কিশোরীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ধর্ষক আব্দুর রহিম ও তার পরিবার।