
দ্বীপকন্ঠ নিউজ ডেস্কঃ
ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে রোগী মৃত্যুর ঘঁনায় বিক্ষুব্ধ স্বজনের হাতে কর্মরত এক স্টাফ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারপিটের শিকার হয়েছে। এঘটনায় কর্মবিরতী পালন করে মানববন্ধন করেছে সকল নার্স ও মিডওয়াইফরা। মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের সামনে মানববন্ধনে মারা যাওয়া রোগীর ছেলে নোমানের শাস্তি দাবী করা হয়। যদিও নোমান ডাক্তার ও স্টাফদের অবহেলায় তার বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
হামলার শিকার মিডওয়াইফ তানিয়া জানান, শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে হানিফ নামে এক রোগী নিয়ে আসা হয়। তার পেট ব্যথা ও শ^াসকষ্ট ছিল। ওইসময় তানিয়ার সাথে সিনিয়র স্টাফ নার্স ফাতেমা বেগমও ডিউটিতে ছিলেন। পোনে ৩টার দিকে রোগীর শ^াসকষ্ট হলে রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার আসার আগেই রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে হট্টগোল শুরু করে। এক পর্যায়ে রোগীর ছেলে নোমান কর্তব্যরত মিডওয়াইফ তানিয়াকে শারীরিকভাবে আঘাত করে এবং টেনে হিঁচড়ে নিয়ে ফ্লোরে আছড়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, স্টাফরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঘটনা উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সোমবার রাতে লালমোহন থানায় নোমানকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে তানিয়া।
অন্যদিকে নোমান জানান, তার বাবাকে নিয়ে নিয়ে হাসপাতালে গেলে ৩য় তলায় ভর্তি করা হয়। তার শ^াসকষ্ট দেখা দিলে নার্স খুজতে থাকি। ৩য় তলায় কোন নার্স না পেয়ে ২য় তলায় নার্সের অফিসে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি এক নার্স ফেসবুক চালায়। তাকে রোগীর অবস্থা খারাপ একটু যাওয়ার জন্য বলি। কিন্তু তিনি যাননি। পরে নিচে নেমেও ডাক্তার পাইনি। বাবাকে ভোলা নেওয়ার জন্য এম্বুলেন্সে উঠানোর জন্য ফাইল চাই নার্সের কাছে। নার্স ফাইল না দেওয়ায় তাকে ধাক্কা দেই। পরে বাবাকে এম্বুলেন্সে উঠানো হলে তিনি মারা যান। নোমান আরো জানান, তার বাবার চিকিৎসায় অবহেলা করা হয়েছে।