
দ্বীপকন্ঠ নিউজ ডেস্কঃ
ভোলা চরফ্যাশন-দুলারহাট মহাসড়কে পল্লী বিদ্যুতের খুটি বসানোর অযুহাতে বন বিভাগের সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১শ কেবি রেন্টি গাছ লুটপাট করা হচ্ছে।। এ ব্যাপারে ওই এলাকার বীট কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করলে তিনি কিছুই জানেনা বলে জানান।
শুক্রবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের বলে বলিয়ান একশ্রেণির লোক সরকারি গাছ গুলো কর্তন করেছে। সড়কে সরকারি গাছ কাটার বিষয় জানতে চাইলে গাছ কর্তনকারীরা বলেন, আমাদের উপরের নির্দেশে আমরা গাছ কাটতেছি।
বন বিভাগের বীট কর্মকর্তার অনুমতি আছে কিনা এমন কথায় গাছ কর্তনকারী সকলে চুপসে যায়। ওই এলাকার দায়িত্বরত ঘোষেরহাট বীট কর্মকর্তা মাসুম মাতুব্বর বলেন, আজ শুক্রবার কোন গাছ কাটা হয়নি। দেখা যায় শুক্রবারে প্রায় ১শ কেবি গাছ লুট-পাট হয়েছে। চরফ্যাশন উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, মাসুম মাতুব্বর ষ্টেশনে নেই।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে এই সড়কে প্রতিনিয়ত সরকারি গাছ কর্তন হয়। চর তোফাজ্জল গ্রামের বাতানিয়া পোলের গোড়ার বাসিন্দা আল-আমীন বলেন, আজ ৫দিন পর্যন্ত এই সড়কে গাছ কাটা হয়। এতে প্রায় ১থেকে দেড়‘শ কেবি গাছ লুটপাট হয়েছে। বীট কর্মকর্তা লোক দেখানোর জন্য ৪/৫ টুকরো গাছ ২৪ জুন ভ্যানে করে অফিসে জব্দ করেছে। মোটা গাছ গুলো অদৃশ্য কারণে লুট হয়ে যায়।
বন বিভাগের বীট কর্মকর্তা মাসুম মাতুব্বর বলেন, পল্লী বিদ্যুতের খুটি বসাবে এই জন্যে গাছের ঢাল পালা কাটা হয়। গোড়ায়(মুড়িয়ে) কোন মোটা গাছ কর্তন হয়না। শুক্রবার গাছ কর্তনের বিষয়টি এড়িয়ে যান।
চরফ্যাশন উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। কোন অনিয়ম হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।