আকতারুল ইসলাম আকাশ, ভোলা
মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারে আজ বিশ্ব মা দিবস।মা দিবস পালন নিয়ে উইকিপিডিয়া তুলে ধরেছে দুটি ইতিহাস। একটি ইহতাসে বলা হয় ‘মা দিবসের’ প্রচলন শুরু হয় প্রাচীন গ্রিসে। অপর ইতিহাস হলো, সর্ব প্রথম ১৯১১ সালের মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার আমেরিকাজুড়ে ‘মাদারিং সানডে’ নামে একটি বিশেষ দিন উদযাপন করা হয়।
১৯১৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেন। এরপর পৃথিবীর দেশজুড়ে মা দিবসটি পালনের রেওয়াজ ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবীর সব দেশেই মা শব্দটিই কেবল সর্বজনীন। মা প্রথম কথা বলা শেখান বলেই মায়ের ভাষা হয় মাতৃভাষা। মা হচ্ছেন মমতা-নিরাপত্তা-অস্তিত্ব, নিশ্চয়তা ও আশ্রয়।
মা সন্তানের অভিভাবক, পরিচালক, ফিলোসফার, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও বড় বন্ধু। মায়ের দেহে নিউট্রোপেট্রিক রাসায়নিক পদার্থ থাকায় মায়ের মনের মাঝে সন্তানের জন্য মমতা জন্ম নেয়, মায়ের ভালোবাসার ক্ষমতা বিজ্ঞানের মাপকাঠিতে নির্ণয় করা সম্ভব নয়। মাকে মহান আল্লাহ তা’য়ালা স্বীয়ং রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাহে আলাইহে ওয়া সাল্লামের পরে সর্বোচ্চ আসন দিয়েছেন।
সনাতন হিন্দু ধর্মে মায়ের স্থান অনেক উঁচুতে। তবে মাকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানোর নির্দিষ্ট কোনো দিন নেই। মায়ের প্রতি ভালোবাসা প্রতিটি মুহূর্তের। সব ধর্মে মায়ের মর্যাদা সৃষ্টিকর্তার পরেই
সন্তান জন্ম দেওয়া থেকে শুরু করে তাকে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলার দায়িত্ব নেন মা ই। তাই বলা হয় `মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত’।
মা জীবনে চলার পথে তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি আমরা। তুমি যা করতে তা সন্তানের ভালো এবং মঙ্গলের জন্যই করতে। আজ বিশ্ব মা দিবসে আমরা সন্তানেরা তোমার কাছে ঋণী। জানি মা এই ঋণী কখনো শোধরানোর মতো নয়। তাই তো বারবার বলছি আমরা তোমার কাছে ঋণী মা।
লেখকঃ আকতারুল ইসলাম আকাশ, ভোলা সংবাদদাতা।