মাহমুদ হাসান লিটন
ভোলা লালমোহনে ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে দোকান মালিক ও ক্রেতারা সরকারের দেয়া শর্ত স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা করছেন সবাই । উপজেলার বেশিরভাগ গার্মেন্টস ও বস্ত্রালয় সহ অন্যান্য দোকানগুলোতে দেখা গেছে ভীড়। ঈদের কেনাকাটায় সামাজিক দূরত্ব বলতে যেন কিছুই নেই। সরকারি নির্দেশনা মতে ১০ মে থেকে স্বল্প পরিসরে সকল দোকান খোলা যাবে। কিন্তু সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে নির্ধারিত সময়ের আগেই উপজেলার সুবিদখালী বাজার এলাকায় বিভিন্ন কাপড়ের দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে। মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তৎপরতা উপেক্ষা করে বাজারের অনেক দোকানগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে অবাধে চলছে কেনাকাটা।
পুলিশের গাড়ি বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসতেছে এটা শোনামাত্রই দোকানের গেট বন্ধ করে ফেলা হয়। কিছু সময় পরে পুলিশের গাড়ি চলে যাওয়া বা মোবাইল কোর্ট স্থান ত্যাগ করার খবর এলেই আবার দোকানপাট খোলা হয়। দোকানীরা কিছুতেই করোনার বিষয়ে সরকারের সতর্কতামূলক স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ফলে বাজারগুলো থেকে মানুষের দেহে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি প্রত্যহ বাড়ছে।
সরেজমিনে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লালমোহন বাজারের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শাটার পুরাপুরি খোলা, রেখে নারী ও পুরুষ ক্রেতাদের কাছে চলছে বেচা বিক্রি। সামনে দোকানের কর্মচারীরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তারা গণমাধ্যম কর্মীদের দেখলে ভিতরের ক্রেতা রেখেই বাহির থেকে পুনরায় শাটার টেনে লাগিয়ে দিচ্ছেন।