![Screenshot_2020-06-07 aHR0cDovL2ltZ2hvc3RzLmNvbS90LzIwMTktMTEvMjUwNDQ4L2ZhMDczYjVlMmNkYTExNWQzOGJjYmU1MjUxMTk2MTExLmpwZw we[...]](https://www.dipkanthonews24.com/wp-content/uploads/2020/06/Screenshot_2020-06-07-aHR0cDovL2ltZ2hvc3RzLmNvbS90LzIwMTktMTEvMjUwNDQ4L2ZhMDczYjVlMmNkYTExNWQzOGJjYmU1MjUxMTk2MTExLmpwZw-we....png)
দ্বীপকন্ঠ নিউজ ডেস্কঃ
করোনাকালে ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলা জুড়ে ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের কাছে রীতিমতো আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় এনজিও গুলো। করোনার প্রাদুর্ভাবে স্থবির ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক কার্যক্রম তার উপর এনজিও’র কিস্তি পরিশোধের ‘তাগদা’য় দিশেহারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ঋণ পরিশোধে গ্রহীতাদের বাধ্য না করতে সরকারি নির্দেশনা থাকলেও এর কোন তোয়াক্কাই করছেনা তারা।
সূত্র জানায়, এ উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি প্রায় ১০/১৫টি এনজিও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। প্রতিদিন ঋণগ্রহীতাদের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হানা দিচ্ছে এসব এনজিও কর্মীরা। স্বাভাবিক সময়ের মতো কিস্তি পরিশোধে গ্রাহকদের করা হচ্ছে চাপ প্রয়োগও। চলমান সংকটে গ্রাহকের অক্ষমতার কোন যুক্তিই কর্ণপাত করা হচ্ছে না। কিস্তি আদায়ের মানসিক চাপের পাশাপাশি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে তারা। গ্রহীতাদের কাছে এখন ‘মারার উপর খাঁড়ার ঘাঁ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঋণের কিস্তি।
লালমোহন বাজারের এক শ্রমিক ফজলে আলী জানান, করোনা সংকট দেখা দেয়ার আগে ব্যবসার কাজে স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। সপ্তাহে ৫শ টাকা করে পরিশোধ করছিলাম কিস্তিও। কিন্তু করোনায় কারণে কাজ বন্ধ থাকায় কিস্তি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবুও প্রতি সপ্তাহে কিস্তি পরিশোধে আমাকে চাপ দেয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক এনজিও কর্মী জানান, কিছু করার নেই, অফিসের নির্দেশনা মেনে কাজ করতে হয়। স্বাভাবকি সময়ে ঋণ আদায়েও আমাদের অনেক বেগ পোহাতে হয়। তাছাড়া একাধিক কিস্তি জমে গেলে গ্রাহক তা পরিশোধে সক্ষম হবে না। তাই কিস্তি নিতে মাঠে যেতে হচ্ছে। সরকারি নির্দেশ মোতাবেক আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কারো কাছ থেকে জোরপূর্বক ঋণ আদায়ের সুযোগ নেই। এর ব্যতিক্রম হলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।