কলাপাড়ায় সরকারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের পুকুর দখল করতে বাঁধা দেয়ায় মহিপুর ইউনিয়নের সাত নং ওয়ার্ড মেম্বার মো.মামুন হাওলাদারের নেতৃত্বে ১৬/১৭জন মধ্যযুগীয় কায়দায় লাঠি সোঠা, লোহার রড, লোহার শাবল ও বাংলা দা নিয়ে মো.খলিল হাওলাদার (৫০) ও মো.আলাউদ্দিন মোল্লা (৭০) কে গুরুতর আহত করেছে।
এ ব্যাপারে আহত মো.খলিল হাওলাদারের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম মহিপুর থানায় ১৭ জনের বিরূদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলার আসামীরা জামিনে মুক্ত হয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদী পক্ষকে বিভিন্নভাবে হুমকিপ্রদান করে আসছে। একারনে বাদী নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। পালিয়ে বেড়াচ্ছে এলাকা ছেড়ে।
জানা যায় কলাপাড়া উপজেলার শিববাড়ীয়া মৌজার পোল্ডার নং ৪৭/১ জে, এল নং-২৬, খতিয়ান নং-৭৭, হাল দাগ নং-৩১৪৬, ৩১৪৭, ৩১৪৮ এ একশত শতাংশ জমিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পুকুর রয়েছে। ওই পুকুরের পানি স্থানীয় প্রায় ৫০টি পরিবার বাড়ির রান্না, গোসলসহ বিভিন্ন কাজে ব্যাবহার করছে দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর। মহিপুর গ্রামের ব্যাবসায়ী আঃ সোবাহান প্যাদা (৪৫) বলেন, প্রায় দুই কোটি টাকার ওই জমির ওপর দৃষ্টি পরে ইউপি মেম্বার মো.মামুন হাওলাদারের। এ কারনে প্রথমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের শর্ত না মানায় ওই লিজ বাতিল করে দেয়। এর পরে তারা ড্রেজার লাগিয়ে অবৈধভাবে পুকুর ভরাট করতে গেলে এলাকাবাসী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এতে মেম্বার মো.মামুন হাওলাদারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে নির্মমভাবে মো.খলিল হাওলাদার (৫০) ও মো.আলাউদ্দিন মোল্লা (৭০)কে নির্যাতন করেছে। এরা মো.খলিল হাওলাদারের দুই হাত ও দুই পা গাছের শিকরের ওপর রেখে হাড় গুরাগুরা করে দিয়েছে। অসহায় গরীব মানুষগুলো এখন অর্থাভাবে চিকিৎসাও করাতে পারছে না।
মপিুর গ্রামের রাহিমা বেগম(৩০) বলেন,আমরা এই গ্রামের প্রায় ৫০টি পরিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পুকুরের মিঠা পানি ব্যাবহার করছি। এই পানি দিয়ে আমাদের বাসা-বাড়ির রান্না-বান্নাসহ গোসল, হাড়ি-পাতিল ধোয়া সব কাজ করছি। এই পুকুরটি ভরাট হয়ে গেলে আমাদের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না। একই কথা বলেছেন, ওই গ্রামের মোসাঃ লাইজু বেগম(৩০), মোসাঃ সায়েরা বেগম(৪০), মোসাঃ পাখি বেগম(৪০)সহ আরো অনেক।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আরিফ হোসেন বলেন, পানি উন্নয় বোর্ডে জায়গা অবৈধ দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের বলেন, মালার উইপি মেম্বার মো.মামুন হাওলাদার(৫০) ও মো. শাহজাহান শিকদার জেল হাজতে রয়েছে। এছাড়া ওই মামলার মো. সোহেল (৪০), মো. লাদেন(৫৫), মো. রাজু(৩০),ও মাসুম(৫৫) জামিনে রয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
Like this:
Like Loading...
Leave a Reply