ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত স্বেচ্ছাসেবক কর্মী আব্দুল রহিমের দাফন সম্পূর্ণ হয়েছে।
আজ সোমবার (১ আগষ্ট) দুপুরে পুলিশ নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে তাঁর মরদেহ হস্তান্তরের পর বিএনপি শহরের গোরস্থান জামে মসজিদ এলাকায় জানাজা নামাজের আয়োজন করে। জানাজার পর তাঁর লাশ দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামে দাফন করা হয়।
এসময় কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন নিহত রহিমের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন এবং বিচার দাবি করেন।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর, ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. হেলাল উদ্দিন ও ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল-আমীন।
জানাজা শেষে তাঁরা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলাম। তারপরও পুলিশ আমাদের সঙ্গে নির্মম আচরণ করেছে। আমরা চেয়েছি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ। কিন্তু পুলিশ আমাদের সমাবেশে বৃষ্টির মতো গুলি করে স্বেচ্ছাসেবক কর্মী আব্দুল রহিমকে হত্যা করেছে।
এছাড়াও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। আমরা এর কঠোর জবাব দিবো।
এদিকে রহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশে গায়েবানা জানাজা হওয়ার কথা থাকলেও ভোলায় তা হয়নি।
উল্লেখ, গতকাল ৩১ জুলাই বিএনপি ঘোষিত সারাদেশে নজিরবিহীন বিদ্যুৎ লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আব্দুল রহিম নিহত হন।
Like this:
Like Loading...
Leave a Reply