ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৬০ বছরের চলাচলের পথ হারিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন ৩০ পরিবারের ২০০ সদস্য। প্রভাবশালীরা চলাচলের রাস্তা কেটে পথ সরু করে জমি দখল করে নেওয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় বাড়িতেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তারা।
সরেজমিন জানা যায়, গত ৬০ বছর আগে সরকারি খাল ভরাট হলে ওই খালের ওপর দিয়ে ৬ ফুট প্রস্থের রাস্তা নির্মাণ করে চলাচল করে আসছিলেন মো. দুলালসহ তাদের ৩০ পরিবারের প্রায় ২০০ সদস্য। সম্প্রতি বাড়ির পুরুষ সদস্যরা পদ্মা সেতু উদ্বোধনে গেলে প্রতিবেশী প্রভাবশালী সালাউদ্দিন ও কামাল হোসেন সুযোগ বুঝে ৬ ফুট প্রস্থের রাস্তাটি কেটে ফেলে ফসলি জমির সঙ্গে মিশিয়ে দেন। এতে ওই পথে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ৩০ পরিবারের ২০০ সদস্য।
এ ঘটনা কেন্দ্র করে গ্রামবাসী এবং ওই পরিবারের মধ্যে উত্তের্জনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতির সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার ।
স্থানীয়রা জানান, ওই প্রভাবশালী চক্র অতিগোপনে সেটেলমেন্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে ওই পরিবারের চলাচলের রাস্তার জমিকে খাসজমি দাবি করে তাদের নামে রেকর্ড করে নেন, যা জানতেন না তারা। রাস্তা কেটে ফেলায় চলাচল ও উপার্জনক্ষম সদস্যদের অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে। স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদে যাওয়ার পথেও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিশু-শিক্ষার্থীসহ পরিবারের সদস্যদের।
তারা আরও বলেন, আমাদের জমি দিয়ে হাঁটতে দিতে পারি কিন্তু গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হবে না। এ জন্যই রাস্তার বাকি অংশ কেটে ফেলা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন জানান, রাস্তার মাটি কেটে জমিতে একীভূত করায় গ্রামের লোকজন চলাচল করতে পারছে না। ফলে চরম দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। চেষ্টা করছি সমস্যা সমাধানের।
চরফ্যাশন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল মতিন খান জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা প্রতিকার চেয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান জানান, কারো ব্যক্তিগত জমি হলেও সেখানে চলাচলের রাস্তা হলে তা বন্ধ করার নিয়ম নেই। কেউ যদি চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, ভুক্তভোগী পরিবার স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের আলোকে উভয়পক্ষকে সমঝোতার জন্য ডাকা হয়েছে। বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা চলছে।