দ্বীপকন্ঠ নিউজ ডেস্কঃ
ভোলার জেলার ঐতিহ্যবাহী লালমোহন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক সময়ের সৎ সাহসী ও উদ্যমী ছাত্র হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। ১৯৯৯ সালে এসএসসিতে প্রথম বিভাগ পাশ করে পরিবারের সকলের মন জয় করেন নোমান । এ ছাড়াও ১৯৯৪ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পেয়েছে নোমান হোসেন । তার বাড়ী লালমোহন পৌরসভার কলেজ পাড়া এলাকায়। মাধ্যমিকে পড়ার সময়ে লালমোহন একাদশে ক্রিকেট/ফুটবল সমানতালে খেলে আসতো সে। ২০০১ সালে সরকারী শাহবাজপুর কলেজে একসাথে পড়ার পর নোমান চলে যায় বরিশাল বিএম কলেজে। ২০০১-২০০২ সেশনে পদার্থ বিষয়ে কিছুদিন ক্লাস করার পর ২০০২-২০০৩ সেশনে পরিবেশ ও ভূগোল বিদ্যা বিভাগে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ২০০৬ সালে প্রথম বিভাগে ২য় (FIRST CLASS 2ND) হয় সে। সেখানেও ক্রীড়া ও সংস্কৃতির প্রতি তার অধম্য নেশায় চবির রব হলে ১০০ স্প্রিন্টারে টানা ০৬ বৎসর প্রথম অথবা ২য় হয়ে সুনাম অর্জন করে। চট্রগ্রামস্থ ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির প্রথম প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও নির্বাচিত হন নোমান। এছাড়া বরিশাল বিভাগীয় সমিতির আপ্যায়ন সম্পাাদক হয়। রব হলে দেশাত্মবোধক ও নজরুল সংগীতে ২য় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে ২০০৪-২০০৯ পযর্ন্ত। ২০১০ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের মধ্য দিয়ে তার কর্ম জীবন শুরু হয়। বর্তমানে সিআইডির ইন্সপেক্টর হিসেবে ঢাকায় কর্মরত আছে। চাকরীর পাশাপাশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার ভালোবাসার টান থেকে যায়। আবৃত্তি শিখেছে-মাহিদুল ইসলাম মাহি এর কাছ থেকে। সংবাদ পাঠ ও উপস্থাপনা শিখেছে লক্ষ্য নিউজ প্রেজেন্টেশন একাডেমী থেকে। ফ্রেন্স ভাষা শিখেছে আলিয়ান ফ্রসেস ধানমন্ডি ঢাকা থেকে। এছাড়া লেখাপড়াও চালিয়ে যাচ্ছে নোমান। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা বিভাগে (MSDM-MASTER OF SCIENCE IN DISASTER MANAGEMENT) একটি কোর্স করছে।
এ সকল সফলতার ব্যপারে সিআইডির ইন্সপেক্টর নোমান জানান, আমার পরম শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতা, শিক্ষাগুরু যারা আমাকে প্রতিনিয়ত সুনজরে রেখেছেন তাদের সকলে প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই । যাদের কারনে পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের মধ্য দিয়ে দেশ ও মানুষের সেবাদানের সুযোগ পেয়েছি ।