ভোলার চরফ্যাশনে কুলছুম বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শ্বশুর কাজল দালালকে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ। নিহত কুলছুম বেগম শশীভূষণ থানার হলুদ বিল্ডিং এলাকার আবদুল মজিদের মেয়ে। তিনি এক সন্তানের মা ছিলেন। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে দক্ষিণ আইচা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুলছুম বেগম সঙ্গে ছয় বছর আগে দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাজল দালালের ছেলে সাইফুল ইসলাম আক্তারের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায় যৌতুকের জন্য কুলছুম কে স্বামী, ও শ্বশুরী মারধর করতো। বুধবার সকালেও কুলছুম কে ফের মারধর করা হয়। এ সময় কুলছুমের মাথায় আঘাত লাগে। পরে স্থানীয় চরকচ্ছপিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হলে গণস্বাস্থ্য দায়িত্বরত চিকিৎসকরা অন্যত্রে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে রেফার করলে বরিশাল নেয়ার পথে বুধবার দুপুরে কুলসুম বেগমের মৃত্যু হয়। নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে জানান, বিয়ের সময় টাকা, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র দেওয়া হয়েছে। এরপর স্ত্রী কুলছুম আরো যৌতুক এনে দিতে বিভিন্ন সময় শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। তাদের ঘরে তিন বছরের শিশু কণ্যা সন্তান আছে। দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মো. সাখায়াত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের পরিবার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করার পর তার শ্বশুর কাজল দালালকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।