1. admin@dipkanthonews24.com : admin :
তজুমদ্দিনে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডবে ৫ শত কাঁচা ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, ১০ হাজার চরবাসী পানিবন্দি - দ্বীপকন্ঠ নিউজ ২৪
বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
লালমোহনে এক সঙ্গে ‘এক মিনিট ধরে ঘন্টাধ্বনী’ আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান সৈয়দ নাসির উদ্দিন লালমোহনে ৪ তলা ভিত বিশিষ্ট একতলা একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করলেন এমপি শাওন মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যন্ত্রপাতি ও জনবলের সংকটে স্বাস্থ্যসেবা . ৬৭পদ দীর্ঘদিন শূন্য লালমোহনে পানিতে ডুবে দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু মানুষের বহুমুখী উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত ও বাস্তবায়ন হয়েছে-এমপি শাওন পটুয়াখালীতে ৪০০ বোতল ফেনসিডিলসহ ও ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার আটক-০২ লালমোহনে বাদী হয়ে অভিযোগ করতে এসে আসামী হয়ে কারাগারে ঠিকাদার শাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের যত উন্নয়ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই হয়েছে-এমপি শাওন তরুণ সমাজকে মাদক থেকে রক্ষায় খেলাধুলার বিকল্প নেই – এমপি শাওন

তজুমদ্দিনে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডবে ৫ শত কাঁচা ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, ১০ হাজার চরবাসী পানিবন্দি

রফিক সাদী
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২
  • ৮৯ বার পঠিত
ভোলার তজুমদ্দিনে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডবে প্রায় ৫ শত কাঁচা ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার জনবসতিপূর্ণ ও নদী বেষ্টিত দ্বীপ চরজহির উদ্দিন, চর মোজাম্মেল, সিডার চর ও চর নাছরিন স্বাভাবিকের চেয়ে ৫-৬ ফুট জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। শতাধিক পুকুরের মাছ  ও অসংখ্য গবাদিপশু  জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। এসব চরাঞ্চলের প্রায় ১০ হাজার পরিবার সোমবার দুপুর থেকেই জোয়ারের বন্দি হয়ে পরে। জোয়ারের পানি নেমে গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নেতৃত্বে একটি টিম দুর্গম চরাঞ্চলের দূর্গত এলাকা পরিদর্শন করতে যান।
সুত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব শুরুর আগেই উপজেলা প্রশাসন ৭৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখে। বিকেল থেকেই প্রায় ৮ হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয় গ্রহন করে। প্রশাসনের পক্ষ হতে তাদের নিরাপদ পানি, শুকনা খাবার ও মোমবাতি সরবরাহ করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের নির্দেশে দলের নেতা-কর্মিরা দুর্গত মানুষদের পাশে থেকে বিভিন্ন সহায়তা দেন।
মেঘনার বিভিন্ন ঘাটে বাধা অবস্থায় ঢেউ ও স্রোতের চাপে বেশ কিছু নৌকার মাস্তুল ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।   অধিকাংশ সড়কের পাশে গাছ পড়ে যোগাযোগ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা স্থানীয়দের সহায়তায় গভীর রাত হতে রাস্তা থেকে গাছ অপসারণ করে সকালে মধ্যেই যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
এছাড়াও সোমবার সকাল থেকেই মুসলধারে টানা বৃষ্টিতে উপজেলার নিন্মাঞ্চল ও অলিগলি পানিতে টইটুম্বুর। বরিবার দিবাগত রাত ১ টার পর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গোটা উপজেলা। তবে বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে। সোমবার দুপুর ২টার পর থেকে গ্রামীণ ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যায়। একারনে উপজেলা প্রশাসনের গঠিত কন্ট্রোলরুমের সাথে দুর্গতরা যোগাযোগই করতে পারেনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সেলিম মিয়া জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। তবে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দ্রুত তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় উপকরণ নিশ্চিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর মানুষ বাড়ি ফিরে গেছে।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার মরিয়ম বেগম জানান, চরাঞ্চলগুলোতে মানুষ জোয়ারের পানিতে আটকা পড়ে। এখন জোয়ারের পানি নেই। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছ থেকে বরাদ্ধ পাওয়া গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো পড়ুন
error: Content is protected !!