ভোলার চরফ্যাশনে ভূয়া রেকর্ড করে প্রতিপক্ষের বসত বাড়ির জমি দখল নিতে তিন নারীকে মারধরের ঘটনায় মামলা করায় ফের প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন নিলুফা(৫৫) মেয়ে তাছলিমা বেগম(২৮)নামের দুই নারী। গতকাল সোমবার দুলারহাট থানার নীল কমল ইউনিয়নের চর যমুনা গ্রামের হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। দুলারহাট থানা পুলিশের সহায়তায় প্রতিবেশীরা গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
জানাযায়, গত ২৫ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বসত বাড়ির বাগানের গাছের ডাল কাটতে গেলে চাচাতো চাচা আলমগীরসহ তার অপর দুই ভাই ও সন্তানরা ওই জমির মালিকানা দাবী করে বাধা দেয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে তর্ক বাধে তর্কের জের ধরে তিন নারীর ওপর আর্তকিত হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। ওই ঘটনায় গতকাল সোমবার মারধরের শিকার গৃহবধু রহিমা বেগম বাদী হয়ে ৮জনকে আসামী করে ভোলা চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। এতে ক্ষুব্দ হন প্রতিপক্ষরা। মামলা দায়েরের জের ধরে গতকাল সোমবার বাড়িতে পুরুষশুন্য থাকার সুযোগে ফের হামলা চালিয়ে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন মামলার আসামীরা। ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে দুলারহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থাল থেকে আহত দুই নারী মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসতালে পাঠান।
ভোক্তভোগি সেলিম জানান, তারা দুই ভাই নীলকমল ইউনিয়নের চর যমুনা মৌজায় এসএ ৫৮ নং খতিয়ানে প্রতিবেশী মৃত আবদুল জলিলেরর ওয়াশি জাকিরুল থেকে ১৬ শতাংশ জমি খরিদ প্রায় ২৫ বছর যাবত বসত বাড়ি নির্মান করে ভোগ দখলে আছেন। সম্প্রতি দিয়ারা জরিপ চলাকালিন সময়ে প্রতিপক্ষ চাচাতো চাচা আলমগীর তার বাবা নুরুল হক ও চাচা কাশেম তার মা মনেজা বেগমের নামে আমাদের খরিদা দখলীয় ওই জমি রেকর্ড করে নেন। এঘটনায় ২০১৯ সনে তিনি বাদী হয়ে রেকর্ড সংশোধনের জন্য চরফ্যাশন সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় চাচতো চাচা আলমগীর ও চাচা কাশেম ওই জমি থেকে তাদের উচ্ছেদের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গত ২৫ অক্টোবর তার স্ত্রী রহিমা, বৃদ্ধ মা নিলুফা ও বোন তাছলিমা ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাগানে গাছের ডাল কাটতে গেলে প্রতিপক্ষ চাচাতো চাচা আলমগীর, চাচা কাশেমসহ তার পরিবারের সদস্যরা বাধা দেন। এবং দুক্ষের মধ্যে তর্কে জড়িয়ে পরেন। তর্কের জের ধরে প্রতিপক্ষরা তার মা- স্ত্রী বোনের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেন।
পুর্বের মারধরের এঘটনায় তার স্ত্রী রাহিমা বাদী হয়ে গতকাল সোমবার ৮ জনকে আসামী করে ভোলা চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে তাদের বাড়িতে পুরুষ শুন্য থাকার সুযোগে প্রতিপক্ষ চাচাতো চাচা আলমগীর ও চাচা কাশেমের নেতৃত্বে অপর দুই চাচা জাকির, জাহাঙ্গীর ও চাচাতো ভাই বাচ্চু, বাহাদুর ,শাহাবুদ্দিন ও ফরিদ তাদের বসত ঘরে হামলা চালিয়ে তার বোন তাসলিমাকে মারধর শুরু করেন। এসময়ে তার বোনকে উদ্ধারে তার বৃদ্ধ মা এগিয়ে গেলে তাকে ও এলোপতারি মারধর করে গুরুত আহত করে ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে দুলারহাট থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে পাঠান।
অভিযুক্ত আলমগীর জানান, তাদের সাথে বসত বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ চলমান আছেন। এনিয়ে তার্ক বিতর্ক হয়েছে।
দুলারহাট থানার ওসি মো. আনোয়ারুল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি । অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।