1. admin@dipkanthonews24.com : admin :
ভোলায় অপচিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু; ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা, রাতভর সমাধানের চেষ্টা - দ্বীপকন্ঠ নিউজ ২৪
শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কলাপাড়ায় দরিদ্র কৃষকদের লবন সহিষ্ণু ফসলেন বীজ, সার ও কীটনাশক বিতরণ বাউফলে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিতকরণ সভা পাথরঘাটায় মৎস্যজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত তজুমদ্দিনে নৌবাহিনীর দুই ভুয়া সদস্য আটক লালমোহনে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত আলোচিত তারেক বাবু হত্যা । আমরা নির্দোষ, আমাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে তজুমদ্দিনে উন্নয়ন সংস্থা কারিতাসের অর্থায়নে জেলেদের মাঝে প্লুট বিতরণ মনপুরায় সামাজিক আচরন পরিবর্তন বিষয়ক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন কর্মশালা ভোলা-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী শাওনসহ ৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা বাউফলে শিশু শিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগ । সহপাঠী শিক্ষার্থী গ্রেফতার

ভোলায় অপচিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু; ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা, রাতভর সমাধানের চেষ্টা

ইব্রাহিম আকতার আকাশ,ভোলা
  • প্রকাশিত : সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৮৩ বার পঠিত

ইব্রাহিম আকতার আকাশ,ভোলা

৭ মাসের শিশু সামিয়ার গলায় উঠে একটি বিষফোঁড়া। চিকিৎসার জন্য দাদা আব্দুল সাদেক নাতনি সামিয়াকে নিয়ে ভোলা শহরের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ করে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি। চিকিৎসক সামিয়ার ফোঁড়া দেখে তা চিকিৎসার মাধ্যমে সারতে পারবেন বলে জানায়। তাঁর আশ্বাসে শুরু হয় চিকিৎসা। একপর্যায়ে শিশুটির শরীরে পুশ করা হয় তিনটি ইনজেকশন। শরীরে ইনজেকশন পুশ করার পরপরই শিশুটির শরীরে নীল বর্ণ ধারণ করে। তা দেখে তাড়াহুড়ো করে ব্লেড দিয়ে কেটে ফোঁড়ার চিকিৎসা চালান ভোলা সদর উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজারের ইসলামিয়া মেডিকেল হলের পল্লী চিকিৎসক মো. হোসেন (৪৬)। চিকিৎসার একপর্যায়ে মারা যায় সামিয়া। এরপর কৌশলে দোকান থেকে পালিয়ে যায় কথিত ওই চিকিৎসক।

শনিবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ভোলা সদর উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজার ইসলামিয়া মেডিকেল হলের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর গতকাল রোববার ৬ নভেম্বর বিকেলে কথিত ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যু আইনে একটি মামলা দায়ের করেন শিশুটির পিতা আল-আমীন। পুলিশ বলছে, ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত চলমান রয়েছে। সামিয়া ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আল-আমীন ও সোহানা দম্পতির মেয়ে। শিশুটির দাদা আব্দুল সাদেক মা সোহানা বেগম ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সামিয়াকে নিয়ে কথিত ওই ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে তিনি সামিয়াকে ভোলা না নিয়ে তাঁর কাছে কম খরচে চিকিৎসা করাতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু চিকিৎসক পরপর তিনটি ইনজেকশন সামিয়ার শরীরে পুশ করতেই তাঁর পুরো শরীর নীল আকার ধারণ করে। এরপর ব্লেড দিয়ে তাঁর ফোঁড়ার জায়গা কাটা শুরু করলেই শিশুটির মৃত্যু হয়।

এদিকে এ ঘটনায় কোনো মামলা না করার জন্য শিশুটির দাদা আব্দুল সাদেককে অনুরোধ জানায় স্থানীয় ফারুক মাষ্টার ও রমিজ উদ্দিন নামে এক ইউপি সদস্য। ফারুক মাষ্টার ওই ইউনিয়নের কন্দকপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক এবং রমিজ উদ্দিন একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। হোসেন পল্লী চিকিৎসার পাশাপাশি কন্দকপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী মৌলবি হিসেবে শিক্ষকতা করেন। ঘটনার পর শিশুটির পরিবারকে তাঁরা মামলা না করার জন্য অনুরোধ জানান। হোসেনের জামাতা একই উপজেলার ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের রাস্তার মাথা বাজারের আল-কারীম মেডিকেল হলের পল্লী চিকিৎসক তারেকসহ তাঁরা বেশ কয়েকজন সামিয়ার বাবা ও দাদাকে ঘটনাটি টাকার বিনিময়ে সমাধানে যেতে অনুরোধ জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনতা বাজারের এক ব্যবসায়ি জানান, হোসেনের জামাতা তারেক, ফারুক মাষ্টার ও ইউপি সদস্য রমিজ উদ্দিন গতকাল রাতেও এ ঘটনায় যাতে মামলা না হয় সেজন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়। এমনকি মামলা হওয়ার পর হোসেনকে তাঁরা আত্নগোপনে রেখেছেন। তাদের সঙ্গে নতুন একটি ফোন নাম্বারে নিয়মিত হোসেনের যোগাযোগ হচ্ছে।

ঘটনাটি দামাচাপার বিষয়ে জানতে চাইলে, হোসেনের জামাতা তারেক কৌশলে তাঁর ফার্মেসি বন্ধ করে চলে যান। ফারুক মাষ্টার ও ইউপি সদস্য রমিজ উদ্দিনও ঘটনাটি দামাচাপার বিষয়ে এড়িয়ে যান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভোলা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইমাম হোসেন জানান, মামলা দায়েরের পর ঘটনাটির তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ দুপুরে তিনি হোসেনের ইসলামিয়া মেডিকেল হলে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষ করেছেন। ঘটনাটির আরও তদন্ত চলমান রয়েছে। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, শিশুটির ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত শেষে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো পড়ুন
error: Content is protected !!