লালমোহনে মহিষ খামারিদের মহিষের জাত উন্নয়ন ও লালন পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার হরিগঞ্জ বাজরে পুজাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে লাল তীর লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট বিডি লিমিটেডের উদ্যোগে ৭ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় মহিষ খামারিদের নিয়ে প্রদর্শনী (প্রোজেনি শো) ও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মহিষ খামারি মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে লাল তীর লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট বিডি লিমিটেডের রিজোনাল ম্যানেজার মো. মামুনুর রশীদ প্রশিক্ষণকালে মহিষ পালনে যত্ন, সতর্কতা, লাভ, রোগব্যাধি নির্ণয় ও চিকিৎসাসহ লাল তীর কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উন্নত জাতের মহিষ কম খরচে লাভজনক উৎপাদন করে খামারিদের সফলতা অর্জনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, গরু অপেক্ষা মহিষের গোস্তে ৪০℅ কোলেস্টেরল কম থাকে। গরুর তুলনায় মহিষের দুধ বেশি হয়, মহিষের দুধে চর্বি ও অন্যানা উপদান প্রায় দ্বিগুণ। মহিষের অসুখ বিসুখ কম হয়। ১০০ কেজি ওজনের গরুর যে খাবার লাগে, তাতে ৬০০ কেজি ওজনের মহিষের হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, লাল তীরের মহিষের সিমেন দ্বারা উৎপাদিত বাছুরের জন্ম ওজন ৪০-৪৫ কেজি যা দেশি মহিষে বাছুরের জন্ম ওজন ২৫-৩০ কেজি। লাল তীরের মহিষের সিমেন দ্বারা উৎপাদিত বাছুর বছরে ২০০ থেকে ৩০০ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। লাল তীরের প্রজননের উৎপাদিত মহিষ দৈনিক ৮ থেকে ১২ লিটার দুধ দেয়। পরে খামারিদের কয়েকজনকে পুরস্কার হিসেবে গামছা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন লাল তীর লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট বিডি লিমিটেডের জুনিয়র অফিসার ইবরাহিম হোসেন। সার্বিক সহযোগিতা করেন স্থানীয় ইয়াই টেকনিশিয়ান মো. রিয়াজ, মো. মিরাজ হোসেন, আবুল কালাম, জাফর ও ইমাম হোসেন।