ঝালকাঠিতে পুরনো ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান খান মাইনুল ও ব্লগার মনির হোসেনসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৬ টার দিকে শহরের জেলেপাড়া সড়কে এঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ইব্রাহিম সরদার লাভু নামে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান খান মাইনুলের সঙ্গে জেলেপাড়া সড়কের ইব্রাহিম সরদার লাভুর পরিবারের বিরোধ চলছিল। এ বিরোধ নিয়ে ইতোপূর্বেও উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারি হয়।
এরই জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের জেলে পাড়া সকড়ের মৃত কদম আলী সরদারের বাড়ি সামনে তাঁর ছেলে ব্লগার মো. মনির সরদার ও ইব্রাহিম সরদার লাভুর সাথে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আতাউর রহমান খান মাইনুলের তর্ক হয়। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আতাউর রহমান খান মাইনুল (২৭), আরিফ খান উজ্জল (৩৫), রাকিব হোসেন (২০) এবং অপর পক্ষের বøগার মো. মনির সরদার (৪৮), তাঁর ভাই কামাল সরদার (৫০), রফিক সরদার (৪০), ইব্রাহিম সরদার লাভুসহ (৪২) কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। এ সময় ওই এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুলতানা সনিয়া বলেন,‘ আহত কয়েকজনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুরুতর অবস্থায় একজনকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত কুমার দে বলেন,‘ সামান্য বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। আহতরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। লোকজন হাসপাতালের মধ্যে ভির করছিল। পুলিশ বহিরাগতদের বের করে দিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে রয়েছে।