ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সুপারি পারার দ্বন্দ্বে অসহায় পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করার অভিযোগ উঠেছে মো.সাদেক হোসেন মিন্টু গংদের বিরুদ্ধে। গত বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে মো.সোহেল (১৭)নিজ বাগানের সুপারি পারার পর সেই সুপারি সাদেক হোসেন মিন্টুর তাদের দাবি করে। এবং তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে মো. সাদেক হোসেন মিন্টু ও তার ছেলে মিজান, জসিম, নাসিম,রাকিব, সহ মো. সোহেলকে মারধর করতে থাকে। এ সময় তার ডাকচিৎকারে ছেলেকে বাচাতে তার মা ইলাহীনুর বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও সবাই মিলে মারধর করে।তাদের হাতে থাকা গাছ কাটা দ্যা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে জখম করেন ইলাহীনুর বেগমকেও। এসময় স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। কিন্তু ইলাহীনুরের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম মেডিকেলে রেফার করেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে জুয়েল নামে বাদী হয়ে অভিযুক্ত ৫ জনকে আসামি করে গত (১নভেম্বর) শশীভূষণ থানায় একটি মামলা দায়েরের পর শশীভূষণ থানা পুলিশ মিজান নামে একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করেন। এদিকে ঘটনার বিশদিন পর মিথ্যা মামলা দিতে ছাদেক হোসেন মিন্টুর স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করে অভিযুক্ত জসিম বাদী হয়ে শশীভূষণ থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, জুয়েলের দায়ের করা মামলার এক নম্বর আসামি মিজানকে গ্রেফতার করে আদালতের সোপর্দ করেছি।অন্যদিকে প্রতিপক্ষরাও একটি অভিযোগ করেছে সেটি তদন্তাধীন রয়েছে।