মো. জাকির মাঝি। বয়স প্রায় ষাট বছর। ভোলার লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ফাতেমাবাদ এলাকার বেতুয়া খালে প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একটি খেযা নৌকাতে করে যাত্রী পার করান তিনি। প্রায় ১০ বছর ধরে খেয়া নৌকা চালিয়ে লোকজনকে পার করে নিজের সংসার চালাচ্ছেন। লর্ডহাজিঞ্জ ইউনিয়নের ফাতেমাবাদসহ অন্যান্য এলাকার মানুষজন এ খাল পার হয়ে দ্রæত সময়ে পাশ^বর্তী চরফ্যাশন উপজেলায় যায় এবং প্রয়োজন সেরে ওই খেয়া দিয়ে আবার চলে আসেন। কম সময়ে চরফ্যাশন উপজেলাতে যেতে মাঝখানে বেতুয়া খাল হওয়ায় মানুষের ভরসা জাকির মাঝির খেয়া নৌকা। জাকির মাঝি ফাতেমাবাদ এলাকার বাসিন্দা।
জাকির মাঝি বলেন, আমার পূর্ব পুরুষরাও এই খালে নৌকা চালিয়েছেন। বর্তমানে এই বেতুয়া খালে আমিও নৌকায় করে মানুষ পারাপার করাচ্ছি। সন্তান থাকলেও, তারা বিয়ে করে থাকছে অন্যত্র। তাই নিজের সংসার চালাতে নৌকায় করে যাত্রী পারাপার করিয়ে জনপ্রতি ১০ টাকা করে নিচ্ছি। এতে দৈনিক মোট আয় হয় দুই থেকে তিনশত টাকা। যা দিয়েই আমার সংসার চালাচ্ছি।
নৌকায় করে বেতুয়া খাল পার হওয়া যাত্রী মাসুদ ও খালেক বলেন, সড়ক পথে গন্তব্যে পৌঁছাতে অতিরিক্ত অর্থ ও সময় ব্যয় হয়। এখান দিয়ে কাছে হওয়ায় নৌকায় করে পার হয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারছি। ১০ টাকা করে দিলেও এই খাল পাড়ি দিলে আমাদের গন্তব্যস্থল কাছে হয়।
লালমোহনের লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া জানান, বেতুয়া খালে আরো কয়েকজন নৌকায় করে যাত্রী পার করান। তাদেরকে বিভিন্ন সময় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সরকারি নানা ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবেও এসব মাঝিদেরকে বিভিন্ন সময় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছি।