এস এম আলমগীর হোসেন, কলাপাড়া
কলাপাড়ায় চাকরির কথা বলে বিনা বেতনের ছয় বছর ক্লাস করে পঞ্চাশ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে খালি হাতে বিদায় দিলেন গাজীপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা হাবিবুর রহমান।
এমন অভিযোগে নেই রবিবার বেলা ১১ টা কলাপাড়া সাংবাদিক ফোরামে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মোঃ মেহেদী হাসান।
তিনি লিখিত বক্তব্য বলেন, বিগত ২০১৭ সালে গাজীপাড়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা হাবিবুর রহমান আমাকে গাজীপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় চাকরী দেওয়ার কথা বলে আমাকে মৌখিক নিয়োগ দিয়া নগদ ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা নেয় এবং যখন এমপিওভূক্ত হবে তখন আরও প্রয়োজনীয় খরচ নিয়ে স্থায়ী নিয়োগ দিবে বলে দীর্ঘ ছয় বছর যাবত আমার দ্বারা ক্লাস করায়। বর্তমানে মাদরাসাটি এমপিওভূক্ত হইলে আমাকে নিয়োগ দেয় নাই এবং আমার টাকা পয়সা ও ফেরত দেয় নাই। এতদিন আমি জানিতে চাইলে তিনি বার বার আশ্বাস দিতে থাকেন যে, আমার সকল কাগজপত্র ঠিক করে রেখেছে, যাতে আমার এমপিও করা হয়। কিন্তু তিনি আমার সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মিথ্যা আশ্বাস দিয়াছে। আমার কোন কাগজপত্র কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠায় নাই৷ অপরদিকে অন্যান্যদের এবং আমার পদে তাহার স্ত্রীকে নিয়ে এমপিওভূক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ দীর্ঘ সময় আমাকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে চাকুরীর মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার জীবনের চরম ক্ষতি সাধন করে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় ৬ নভেম্বর কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্য গণ ব্যক্তিবর্গদের কাছে বিষয়টি দেখার জন্য দেওয়া হয় কিন্তু মাওলানা হাবিবুর রহমান বিষয়টি ফায়সালা করছে না কোন উপায় না পেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করছি।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, গাজীপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় চাকরির আশায় বিনা বেতনে দীর্ঘ ছয় বছর যাবত তিনি ক্লাস করেছে, কিন্তু বর্তমানে এমপিওভূক্ত হওয়ায় মাদ্রাসার সুপার মাওলানা হাবিবুর রহমান’র স্ত্রীকে বসিয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত গাজীপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, তাকে চাকরি দেওয়ার কোন আশ্বাস দেওয়া হয়নি, তিনি চাকরির জন্য টাকাগুলো দিতে চেয়েছিল কিন্তু আমি নেওয়া হয়নি, তবে এ টাকাগুলো অন্যের কাছে জমা রয়েছে। এখন তার সাথে ফায়সালা করতে চেষ্টা করছি।