ইব্রাহিম আকতার আকাশ
ভোলায় হোসেন (৩৬) নামে এক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসা অবহেলায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও এখনো পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতার করতে পারেনি। যদিও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে বাদীর অভিযোগ আসামি আত্নগোপনে থাকলেও পুলিশ আসামি গ্রেফতারে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
মামলার বাদী আল-আমীনের অভিযোগ, গত ৫ নভেম্বর অভিযুক্ত চিকিৎসক তাঁর সাত মাসের শিশু কন্যা সামিয়াকে অপচিকিৎসা দিয়ে মেরে ফেলেছে। ঘটনার পর স্থানীয় ইউপি সদস্য রমিজ উদ্দিন ও ফারুক মাষ্টারসহ বেশ কয়েকজন এ ঘটনায় যাতে মামলা না হয়, সেজন্য সারারাত আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়। কিন্তু মামলা দায়েরের ২০ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো অভিযুক্ত চিকিৎসক গ্রেফতার না হওয়ায় চরম হতাশা ও শঙ্কায় দিন কাটছে বাদীর পরিবারের।
তাদের দাবি, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি গ্রেফতারে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাদের দাবি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসে।
তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভোলা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইমাম হোসেন জানান, মামলা হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেফতারে আপ্রাণ চেষ্টা তিনি চালাচ্ছেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আসামি আত্নগোপনে থাকায় গ্রেফতারে বিলম্ব হচ্ছে।
উল্লেখ, গত ৫ নভেম্বর বিকেলে জেলার সদর উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজারের ইসলামিয়া মেডিকেল হলের পল্লী চিকিৎসক মো. হোসেন ৭ মাস বয়সী সামিয়া নামে এক শিশুর বিষফোঁড়ার চিকিৎসা করতে গিয়ে শিশুটির শরীরে পরপর তিনটি ইনজেকশন পুশ করেন। ইনজেকশন পুশ করার পর শিশুটির শরীরে নীল বর্ণ ধারণ করে। এরপর চিকিৎসক ব্লেড দিয়ে তাঁর ঘাড়ের বিষফোঁড়া কাটতে গেলে শিশু সামিয়ার মৃত্যু হয়।
সামিয়া ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আল-আমীনের মেয়ে। ঘটনার পর আল-আমীন ভোলা সদর মডেল থানায় চিকিৎসা অবহেলায় মৃত্যু আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।