দ্বীপকন্ঠ নিউজ ডেস্কঃ

ভোলার লালমোহনে রাতের আঁধারে অন্যের স্ত্রীর কাছে গিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন এক ইউপি সদস্য। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের কিশোরগঞ্জ এলাকায় এক দিনমজুরের ঘরে প্রবেশ করেন ওই ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহাবুবুল আলম সেন্টু। এসময়  গৃহবধূর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় তাকে হাতেনাতে ধরেন ওই গৃহবধূর শ্বশুর মো. জসিম। এ ঘটনা জানাজানির পর থেকে এলাকায় চলছে তোলপাড়। অনেকে আবার প্রশ্ন তুলেছেন জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি এমন কাণ্ড করে, তাহলে সাধারণ জনগণের বিচার করবে কে?

ওই গৃহবধূর শ্বশুর মো. জসিম জানান, আমি রাতে দরজা ভেঙে সেন্টু মেম্বারকে এক সঙ্গে আমার পূত্রবধূর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরি। কোরআন শপথ করেও আমি এ ঘটনা বলতে পারবো। ঘটনাটি মানুষজনকে জানালে মেম্বার সেন্টুসহ তার লোকজন আমাকে মারধরের চেষ্টা করে। আমি এর বিচার চাই।
তবে এ অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবী করে ইউপি সদস্য মাহাবুবুল আলম সেন্টু বলেন, আমাকে ফাঁসাতে একটি চক্র এ অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এব্যাপারে ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ হোসেন মুরাদ বলেন, সেন্টু মেম্বার এলাকায় এক গৃহবধূর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়েছে বলে এলাকার লোকজন ও ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, স্থানীয়দের অভিযোগ ওই মহিলার স্বামী এলাকার বাহিরে থাকার সুযোগে দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে আসছেন ইউপি সদস্য মাহাবুবুল আলম সেন্টু।