1. admin@dipkanthonews24.com : admin :
ঝালকাঠিতে তালাকপ্রাপ্ত নারীকে ঘরে উঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সন্মেলন - দ্বীপকন্ঠ নিউজ ২৪
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চরফ্যাশনে পানিতে ডুবে ভাই বোনের মৃত্যু মনপুরায় বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ট লক্ষাধিক মানুষ তজুমদ্দিনের চরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৫ জন আহত, হাসপাতালে ভর্তি চরফ্যাসনে ক্রিকেট ব্যাটের আঘাতে যুবকের মৃত্যু, থানায় মামলা মনপুরায় মুদি ব্যবসায়ীর দোকান থেকে লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি ভোলায় সময় টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত । গুণীজনদের মিলন মেলা পাথরঘাটায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত মনপুরায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলার উদ্ভোধন লালমোহনে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন চরফ্যাসনে দুই শিশুর বিরোধকে কেন্দ্র করে বসত বাড়িতে হামলা । আহত – ১০

ঝালকাঠিতে তালাকপ্রাপ্ত নারীকে ঘরে উঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সন্মেলন

দ্বীপকন্ঠ নিউজ ডেস্ক:
  • প্রকাশিত : শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৩০৩ বার পঠিত
Spread the love

দ্বীপকন্ঠ নিউজ ডেস্কঃ

ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাসুদ রানার বিরুদ্ধে বিদেশ ফেরত ব্যক্তির তালাকপ্রাপ্ত নারীকে জোর করে ঘরে উঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই ব্যক্তিকে তিনি ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে সই নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।

শনিবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে রাজাপুর উপজেলার দক্ষিণ তারাবুনিয়া গ্রামের কুয়েত ফেরত আব্দুল জলিল এ অভিযোগ করেন। এমনকি তালাকপ্রাপ্ত নারী মরিয়ম বেগম তাঁর বসতঘরে উঠে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন। একদিকে পুলিশ, অন্যদিকে তালাকপ্রাপ্ত নারীর ভয়ে তিনি এখন আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এদিকে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ঘরে ওঠায় সামাজিকভাবেও স্থানীয় ব্যক্তিরা আব্দুল জলিলকে হেয়প্রতিপন্ন করছে। তাকে মসজিদে নামাজ পরতেও দেওয়া হচ্ছে না।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন পারিবারিক বিরোধের কারণে প্রথম স্ত্রী হেলেনা বেগম এক মেয়ে নিয়ে ঢাকায় থাকেন। আব্দুল জলিলের কোন খোঁজখবর নেন না। এ অবস্থায় মরিয়ম বেগমকে পাঁচ বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জলিল। বিয়ের পরে দ্বিতীয় স্ত্রী পরোকিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন। একাধিকবার তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্রও করেন। জোর করে সম্পত্তি লিখে নিতেও চেয়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রী। এতে বাধ্য হয়ে বিদেশ ফেরত আব্দুল জলিল ২০২১ সালের ৫ জুলাই দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেন। তালাকপ্রাপ্ত ওই নারী আদালতে যৌতুকের মামলা করেন। এছাড়াও তিনি পারিবারিক আদালতেও একটি মামলা করেন। মামলা দুটি চলমান রয়েছে। ওই নারী সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাকে পুনরায় বিয়ের জন্য চাপ দেয়। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি তাকে চোখ বেঁধে উঠিয়ে নিয়ে সন্ত্রাসীরা ওই নারীর সঙ্গে দেড় লাখ টাকা কাবিন করে কাজীর মাধ্যমে জোর করে নিকাহনামায় সই নেয়। এ ঘটনায় তিনি আদালতে মরিয়ম বেগম ও কাজী মাসুদুর রহমানের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, এ ঘটনার পরে গত ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাসুদ রানা তাকে ডেকে এনে মরিয়ম বেগমকে জোর করে তার বাসায় উঠিয়ে দেন। তাকে মারধর ও মামলা দেওয়ার হুমকি দেন। সহকারী পুলিশ সুপার সাদা কাগজে তাঁর সই রেখে দেন। এ সময় তিনি পুরো ঘটনা শোনার অনুরোধ করলেও সহকারী পুলিশ সুপার তাকে কোন কথা বলতেই দেয়নি।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাসুদ রানা বলেন, মরিয়ম বেগমের অভিযোগ পেয়ে আব্দুল জলিলকে ডাকা হয়েছিল। তিনি পারিবারিকভাবেই সম্মত হয়ে লিখিত দিয়েছেন। কাউকে জোর করে সাদা কাগজে সই নেওয়া হয়নি। ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ সত্য নয়।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো পড়ুন
error: Content is protected !!