চরফ্যাশনের জিন্নাগড় ইউনিয়নে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী সুমন মোল্লার বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা, বসত ঘর ভাংচুর, লুটপাট তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে থানার চত্বরে বিক্ষোভ সমবেশ ও মানববন্ধন করেছেন কয়েকশত নারী-পুরুষ।
শনিবার ওই ওয়ার্ডের নারী-পুরুষরা একত্রিত হয়ে প্রায় দু‘ঘন্টা ব্যাপি থানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষেভ সমাবেশ ও মানবন্ধন করেন।
জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ইউপি নির্বাচন শেষে ওই রাতে জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী সুমন মোল্লার বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা, বসত ঘর ভাংচুর, লুটপাট চালিয়ে তিনটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেন প্রতিপক্ষ নবনির্বাচিত মেম্বার আবু জাহেরের ভাই বসির আহম্মেদসহ তার কর্মী ও সমর্থকরা। এঘটনায় পরজিত মেম্বার প্রার্থী সুমন মোল্লাসহ তার পরিবারের নারী-পুরুষ ও বৃদ্ধসহ ১২ জন আহত হন।
শুক্রবার রাতে হামলার ঘটনায় পরাজিত মেম্বার প্রার্থী সুমন মোল্লা বাদী হয়ে ২০জনকে আসামী করে চরফ্যাশন থানায় মামলা দায়ের করেন। তিনদিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন। বিক্ষোভ সমাবেশে ওই ওয়ার্ডের কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশগ্রহন করেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পরাজিত মেম্বার প্রার্থী সুমন মোল্লা অভিযোগ করেন, বিজয়ী মেম্বার আবু জাহেরের ভাই বশির আহম্মেদের নেতৃত্বে বিজয় উল্লাস করে আমার বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। কিছুক্ষন পরই বাড়ির ভিতরে একটি ককটেল বিস্ফোরন ঘটান তারা। বিকট শব্দে আমি এবং পরিবারের সদস্যরা ঘর থেকে বেরিয়ে এলে নবনির্বাচিত মেম্বার আবু জাহেরের ভাই বশির আহম্মেদের নেতৃত্বে তার কর্মীরা ঘরে প্রবেশ করে আসবাব পত্র ও বসত ঘরের দরজা জানালাসহ তিনটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেন। এসময় তারা হামলাকারীদের প্রতিহত করতে গেলে আমাদের উপরও মারধরে এবং পরিবারের কর্মীসহ ১২ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাতেই চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নবনির্বাচিত মেম্বার আবু জাহের জানান, ভোটে হেরে গিয়ে সুমন মোল্লার কর্মী- সমর্থকরা তার ভাইয়ের দুই ছেলে সজিব ও সুমনকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে তাদের বাড়িতে আটকে রাখেন। তাদের উদ্ধারে সেখানে গেলে তারা আমাদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। এতে তার ভাই বশির আহম্মেদসহ আরো তিন কর্মী আহত হয়েছে।
জিন্নাগড় নবনির্বাচিত ইউপির চেয়ারম্যান মো. হোসেন মিয়া বলেন, এলাকায় বিশৃংখলা কারীদেকে ছাড় দেয়া হবেনা। অপরাধ করলেই পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
চরফ্যাশন থানার ওসি মোঃ মোরাদ হোসেন জানান, জিন্নাগড় ৫নং ওয়ার্ডে পারজিত মেম্বার প্রার্থীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।