তৌহিদ হোসেন উজ্জ্বল , বাউফল
পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার বালিকা বিদ্যালয় ও বাজার রোডের সংযোগ সড়কে বিশাল ময়লা আবর্জনার স্তুপে। পুরো এলাকা জুড়ে বাতাসের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। কয়েক বছর ধরেই শহরের প্রাণকেন্দ্রের প্রায় ৮ শতাংশ জায়গা জুড়ে এ দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা আবর্জনার স্তুপ। স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সকল বয়সের পথচারীদের এই পথ দিয়ে নাঁক কুঁচিত করে চলতে হয়। প্রতিদিনের রক্ষিত এই ময়লার মধ্যে দিয়ে জীবিকা খোঁজেন মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী (৫৫)। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্র্যন্ত ময়লা আর্বজনার মধ্যে পুরানো লোহা সহ প্লাস্টিক খুঁজে থাকেন। খুঁজে পাওয়া প্রতি কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা ভাঙ্গারীর দোকানে (পুরানো মালামাল ক্রয়কারী দোকান) বিক্রি করে ৮০ থেকে ১০০ টাকা উপার্জন করেন। এ টাকায় ২ সন্তান সহ স্ত্রী নিয়ে সংসার চলে তার। ইদ্রিস জানান, তার বাড়ী উপজেলার নাজিরপুর গ্রামে। ময়লা আবর্জনা ছানতে তার ভয় নেই, লজ্বা নেই। এটার মধ্যে লুকিয়ে আছে তার পরিবারের ভরন পোষনের টাকা। ময়লার মধ্যে থেকেই তার খাবার বের হয়ে যায়। এর মধ্যেই অনেক ধরনের খাবার পাওয়া যায়। সরকার বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি ভিজিএফ দিলেও তার ভাগ্যে জোটেনি। চেয়ারম্যান মেম্বারদের সাথে যাদের সখ্যতা আছে তারাই বার বার চাউল ডাল তেল টাকা পেয়ে থাকে। হাতে ময়লার পলিথিন, মুখে ক্ষোভের কণ্ঠস্বর, আমি গরীব ময়লা ছানি; আমাকে চোঁখে দেখছে না জনপ্রতিনিধিরা। বাউফল পৌরসভা পরিছন্নকর্মী সেলিম জানান, আমরা ময়লা রাখার পরে ইদ্রিস ভাই এগুলো খুঁজে পুরানো জিনিস পত্র নিয়ে থাকে। দেখছি প্রতিদিন এ ভাবে টোকাইয়া (কুড়াইয়া) থাকে। তার কোনো অসুখ-বিসুঁখ দেখছিনা। পরিছন্নকর্মী অঙ্গবিক্ষেপ করে বলেন, দ্যাখেন ভাই আল্লার কি লিলা খেলা, বড়োলোকেরা খাবার খাঁয়না, কারন বাসি খাবার খাইলে তাদের নাকি কলেরা হইবো। লোকটা গরীব মানুষ, বড়ো লোকের ডাস্টবিনে ফেলে রাখা খাবার তুলে নিয়ে খায় অথচ তার কলেরা হয়না হয় বড়ো লোকের।