বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে যতদূর চোখ যায় কেবলই দেখা মিলে হলুদের সমারোহ। যেন হলুদের চাঁদরে ডেকে রয়েছে মাঠের পর মাঠ। সরিষার চাষের দিকে ঝুকছে কৃষকেরা। এমন চিত্র ভোলার লালমোহনের সরিষা ক্ষেতের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, লালমোহনে সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল কেবল ৬শত হেক্টর জমি। তবে এবছর সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে উপজেলায় সরিষার আবাদ হয়েছে ১৫শত ৫৭ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি।
উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের জাহাজমারা গ্রামের সরিষা চাষী মো. মোস্তফা ও প্রতাপ সরকার বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবছর সরিষা চাষে খরচ একটু বেশি হয়েছে। আর কয়েকদিন পরেই আমরা জমির সরিষা কাটা শুরু করবো। তবে এ বছর ফলন ভালো এবং বাজারের ন্যায্যমূল্য পেলে আশা করছি গত বছরের চেয়েও অধিক লাভবান হতে পারবো। ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চাষী আকবর মিয়া বলেন, এবছর সরিষার ফলন খুব ভালো। কোন রকম রোগবালাই নাই। সবকিছু ঠিক থাকলে বাম্পার ফলন ফবে।
এব্যাপারে লালমোহন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যাহ জানান, এবছর উপজেলায় সরিষা আবাদের যে লক্ষ্যমাত্র ছিল, তা ছাড়িয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। আশা করছি আবহাওয়া ঠিক থাকলে এবছর সরিষার বাম্পার ফলন হবে, কৃষকরা পাবেন তাদের ফলনের ন্যায্য মূল। যার মাধ্যমে দেশে সরিষার বিদেশী আমদানী কমবে।