তৌহিদ হোসেন উজ্জ্বল , বাউফল
পটুয়াখালীর বাউফলে মমিনুপর চরের তলদেশ থেকে বোম ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে একটি বালুখেকো চক্র। ওই চক্রের প্রধান হোতা হচ্ছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য। তাঁর নাম মোঃ শাহজাহান গাজী। তিনি উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড (উত্তর মমিনপুর) ইউপি সদস্য। ওই বালু খেকো চক্রের অপর সদস্যরা হলেন মেম্বারের আপন দুই ভাই ও এক ভাইর ছেলে। অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলনের কারণে চরের শুরু হয়েছে ভাঙন। হুমকিতে পড়েছে ফসলি জমি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউপি সদস্য মোঃ শাহজাহান গাজী ও তাঁর ভাই মোঃ কাশেম গাজী, মোঃ আফজাল গাজী ও ভাইর ছেলে রাব্বী গাজীসহ একটি চক্র দীর্ঘদিন যাবৎ কেশবপুরের মমিনপুর এলাকায় অবৈধ বালুর ব্যবসা করছেন। চক্রটি মমিনপুরের চরাঞ্চল, খাল-বিল, পুকুর ও ডোবার তলদেশ থেকে নিষিদ্ধ বোম ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। ওই বালু স্থানীয় বসতবাড়ি নির্মাণ, নিচু জমি ভরাট ও রাস্তা নির্মাণ কাজে চড়া দামে বিক্রি করেন। অবৈধ বালু বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি বনে চলে গেছেন মেম্বার পরিবার। মমিনপুর ও বরিশালে তাদের রয়েছে আলিশান বাড়ি। এছাড়াও বরিশাল ও এলাকায় গড়ে তুলেন একাধিক ব্যবসা বানিজ্য।
সরেজমিন শুক্রবার কেশবপুরের উত্তর মমিনপুর চরে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয় ভাবে তৈরি ইঞ্জিনচালিত ড্রেজার দিয়ে চর কেটে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উত্তোলনকৃত বালু পাইপের মাধ্যমে পাশের একটি ভবন নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ছবি তুলতে গেলে ইউপি সদস্য শাহজাহান গাজীর ভাই আফজাল গাজী ও ভাইপো রাব্বী সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বলেন, ছবি তুলে নিউজ করলেও কিছু হবে না?
এদিকে মমিনপুর চরের ছোট খাল থেকে বালু উত্তোলন করায় চরে ভাঙন শুরু হয়েছে। হুমকিতে পড়েছে ফসলি জমি। তবে ওই প্রভাবশালী মেম্বার পরিবারের ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না।
স্থানীয় এক কৃষক বলেন,‘ মেম্বার ও তার ভাইয়েরা মেশিন দিয়া বালু তোলে। আমাগো জমি নষ্ট হয়। হ্যার পরেও কিছু বলতে পারছি না।
অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয় অস্বীকার করেন ইউপি সদস্য শাহজাহান গাজী। তিনি বলেন, আমি এর সাথে জড়িত না। আমার ভাই কাশেম গাজী ও তার ছেলে রাব্বী এ বালুর ব্যবসা করে। সংবাদ প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টাও করেন ওই ইউপি সদস্য শাহজাহান গাজী।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল আমিন সাংবাদিকদের বলেন অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।##