লালমোহনে গৃহবধূর উপর অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া ৬নং ওয়ার্ডে ২ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গজারিয়া ৬নং ওয়ার্ডের মৃত এম এম শাহজাহানের পুত্র মো. ফজলে হাসানের সাথে ৮নং ওয়ার্ডের মফিজুল ইসলামের কন্যা মাইমুনা ইসলাম রিমার সাথে ৮ বছর আগে বিয়ে হয়েছে। বিয়ের সময় বরপক্ষের দাবি অনুযায়ী কন্যার পিতা নানান উপঢৌকন, স্বর্ণালংকার ও ফার্নিচার দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ফরাস (৪) নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই গৃহবধূর উপর নানাভাবে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে এবং বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে। শাশুড়ি হোসনে আরা বেগমের শল্য পরামর্শে ব্যবসা করবে বলে বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিলে কন্যার সুখের কথা চিন্তা করে মফিজুল ইসলাম দুই লাখ টাকা দিতে বাধ্য হয়।
কিন্তু সে অপথে কুপথে চলে টাকা উড়াতে থাকে। কিছুদিন পর আবারও গৃহবধূ মাইমুনাকে জড়োসড়ো ব্যবসা করবে বলে তার বাপের বাড়ি থেকে পাঁচ লাখ টাকা এনে দিতে বলে। এতে মাইমুনা অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামী ফজলে হাসান বিপ্লব ও শাশুড়ি হোসনে আরাসহ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এর জের ধরে একপর্যায়ে ২ ফেব্রুয়ারি বিকাল অনুমান ৫টার দিকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। ওয়ালের সাথে ধাক্কা দিয়ে কপালে রক্তাক্ত জখম করে। পরে গৃহবধূ ডাক চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। পাঁচ লাখ টাকা এনে না দিলে তাকে তালাক দিবে বলে হুমকি দেয়। সন্তানসহ গৃহবধূকে ঘর থেকে বের করে দেয়। আহত গৃহবধূকে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত গৃহবধূ ও তার পিতৃ পরিবার এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেন।