ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নে জমিজমা বিরোধের জের ধরে রাতের আঁধারে টিনের ছাপড়া ঘর ভাংচুর লুটপাট, সুপারি গাছ কর্তন। এতে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন। আদালতে মামলা দায়ের।
জানা যায়, উপজেলার পক্ষিয়া ( ৯ নং ওয়ার্ড) রাতের আঁধারে ছাপড়া টিনের ঘর ভাংচুর, লুটপাট, সুপারি গাছ কর্তন সহ প্রায় ৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছেন মোঃ শাজাহান হাওলাদার গংরা। এই ঘটনায় নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বাদী নুরজাহান বেগম এর ভাই মোঃ হুমায়ুন কবির এই প্রতিবেদক কে জানান, আমার বাবা মৃত বাদশা মিয়ার ৩৭ শতাংশ জমি দলিল দেওয়া জমিতে ১ বছর যাবৎ ভোগ দখল করতেছি। আমার চাচাত ভাই মোঃ শাজাহান হাওলাদার এর নেতৃত্বে মোঃ বাপ্পী, শাহাবুদ্দিন হাওলাদার,আচিয়া বেগম,সাবিকুন নাহার তমা, সালমা বেগম, সমিরুন বেগম সহ আরো লোকজন নিয়া গত ১৫/১/২০২৩ ইং তারিখ রোজ রবিবার রাত ১১.৩০ মিনিটে আমাদের জমিতে বসত করা ছাপড়া ২ টি টিনের ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। এতে আমরা সজাগ হয়ে বাঁধা প্রদান করলে আমাদের সবাইকে ব্যাপক মারধর করেন। আমরা সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে আমাদের অভিযোগ গ্রহন করেনি। কারণ শাজাহান হাওলাদার গংরা প্রভাবশালী। ঘটনার ৩ দিন পর আমার বোন নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা নং সি,আর ২৩। তারিখ ১৮/০১/২০২৩ ইং। মামলার বাদীর ভাই মোঃ সোহাগ হাওলাদার জানান, এই দাগ ও খতিয়ানের ৩৭ শতাংশ জমি আমার বাবা মৃত্যুর পুর্বে আমাদের ৭ ভাই বোনের নামে দলিল করে দিয়ে যান কিন্তু আমরা করোনা মহামারির মধ্যে ঢাকা থাকার কারণে এই সুযোগে আমার চাচাত ভাইদের নামে বি এস খতিয়ান করে নেন। আমার চাচাত ভাই আমাদের নামে বিভিন্ন সময় ৬/৭ টি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে দাবী করেন। আমরা বর্তমানে নিরাপত্তা হিনতায় ভূগতেছি। উক্ত জমির দাগ নম্বর ৫৫১১। পক্ষিয়া মৌজা এস এ খতিয়ান নং ৬৪৩। বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এমপি ৫৮১/২২ নং মোকদ্দমার তদন্ত করেন মোঃ আনোয়ার হোসেন ( কানুনগো) তিনি জানান, তদন্ত করে ২ টি টিনের ছাপড়া ঘর আছে বলে বিবাদী পক্ষ দাবী করেন এবং হুমায়ুন কবির গংরা ৩৭ শতাংশ জমি ভোগ দখল করতেছেন।