১লা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৬০দিন (২ মাস) ইলিশ অভায়াশ্রমগুলোতে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। এই সময় নিষেধাঙ্গা অমান্য করে অভয়াশ্রমগুলোতে মাছ ধরলে জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইলিশ অভয়াশ্রমে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য চাঁদপুর, লক্ষীপুর, শরিয়তপুর, ভোলা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার মেঘনা, কালাবদর ও গজারিয়া নদীর অভয়াশ্রমসমূহে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা আইনগত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা মানতে মনপুরার জেলেরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নদী থেকে জেলেরা নৌকা ট্রলার খালের ভিতর নিরাপদ স্থানে এনে রাখছেন। যদিও ইলিশ মৌসুমে জেলেরা তেমন কোন ইলিশের দেখা পায়নি। ইলিশ মৌসুমে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা না পড়ায় অধিকাংশ জেলে দায় দেনা জর্জরিত। নিষেধাঙ্গা সময় জেলেরা বেকার হয়ে পড়বেন। কিভাবে দায় দেনা পরিশোধ করবেন সেই দুঃচিন্তায় আছেন জেলেরা। অধিকাংশ জেলেরা তাদের নিষেধাঙ্গার সময় জাল, নৌকা বা ট্রলার মেরামতের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়ছেন। অনেক জেলে ২ মাস নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় অন্য পেশায় জীবিকা অর্জনের জন্য ঝুঁকে পড়ছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে সংসার চালাবেন তার চিন্তায় আছেন জেলেরা। সরকার জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা না করলে জেলেরা বেকার হয়ে পড়বে। পরিবার পরিজন নিয়ে জেলেরা এখন দুঃচিন্তায় আছেন।
মনপুরা মৎস্য অফিস সূত্রে জানাযায়, ভোলা জেলার মনপুরা / চর ইলিশা হতে চর পিয়াল পর্যন্ত (মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ কালীন সময় জেলেরা যাতে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে পারেন তার জন্য সরকার জেলেদের জন্য ভিজিএফ এর ব্যাবস্থা করেছেন।
জানাযায় উপজেলায় মোট নিবন্ধিত জেলে আছে ১০হাজার ৫শত। মার্চ মাসে জেলেদের সহায়তা বাবদ ভিজিএফ এর চাউল এসেছে নিবন্ধিত ৬ হাজার ২শত জেলের । প্রতি জেলে প্রতিমাসে ভিজিএফ এর চাউল পাবেন ৪০ কেজি করে।
এব্যাপারে মনপুরা উপজেলা মৎস্য অফিসার ভিক্টর বাইন বলেন, অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা ২ মাস বন্ধ থাকবে। এই সময় নিবন্ধিত জেলেদের ভিজিএফ এর বরাদ্ধকৃত চাউল দেওয়া হবে। জেলেরা যাতে অভয়াশ্রমগুলোতে মাছ ধরতে না পারে তার জন্য আমাদের অভিযান চলবে। প্রতিদিন আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।