নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে মাংস কম দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বরের বাবা নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় কনের বাবা ও স্থানীয় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৪ মার্চ) জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (৩ মার্চ) রাতে উপজেলার আমরুলবাড়ী গ্রামের বগুলাগাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন, আনারুল ইসলাম জলঢাকা পৌর এলাকার বাসন্দিা। তিনি কনের বাবা। স্থানীয় ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
নিহত নুর মোহাম্মদ রংপুর নগরীর হাজিরহাট উত্তম বাওয়াই পাড়ার বাসিন্দা। তিনি বরের বাবা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিকভাবে শুক্রবার (৩ মার্চ) রাতে আনারুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল আক্তারের সঙ্গে নুর মোহাম্মদের ছেলে আলীর বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর কনে নিয়ে চলে যান বর আলী। বিয়েতে কনে বাড়িতে বরপক্ষের প্রায় ১০০ জন অতিথি আসার কথা থাকলেও প্রায় ২৫০ জন অতিথি আসায় খাওয়ার সময় মাংস কম হওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এ সময় কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে কনেপক্ষের লোকজনের মারধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হয়ে পড়েন বরের বাবা। এ সময় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি। পরে সংবাদ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে বরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর জানান, শুক্রবার রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে কনের বাবাসহ দুজনকে আটক করেছি।