1. admin@dipkanthonews24.com : admin :
বাউফল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন দখল ও শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ - দ্বীপকন্ঠ নিউজ ২৪
শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন

বাউফল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন দখল ও শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ

তৌহিদ হোসেন উজ্জ্বল, বাউফল
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৯ মে, ২০২৩
  • ৩৪ বার পঠিত

পটুয়াখালীর বাউফলে ধূলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ধূলিয়া কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। এতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান থেকে বঞ্ছিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ১০টার সময়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা নিয়ে উভয় প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বাউফল উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, একই ক্যাম্পাসে ধুলিয়া কলেজিয়েট স্কুল ও ধুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ধূলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব কোন জায়গা না থাকায় কলেজিয়েট স্কুলের গভর্নিংবডির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের জায়গায় একটি বহুতল ভবন নির্মানের জন্য রেজুলেশন করে এ অনুমতি দেয় গভর্নিংবডি। কলেজিয়েট স্কুলের সভাপতি ও অধ্যক্ষ সেই রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেন। সেই অনুযায়ি সরকারী অর্থায়নে ৪-৫ মাস আগে সেখানে একটি তিনতলা ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়।

গত এক সপ্তাহ ধরে ওই নতুন ভবনে ৫শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান চলে আসছিল। গতকাল মঙ্গলবার (৯ মে) সকালে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের আসার আগ মুহূর্তে কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করেন এবং অবস্থান নেন। এরপর অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকরা এসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। এতে  প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করতে না পেরে ভবনের নিচতলায় খোলা জায়গায় অবস্থান নেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েক শিক্ষক অভিযোগ করেন, তাদের কয়েকজন কোমলমতি শিক্ষাথীদের মারধর করে শ্রেণী কক্ষ থেকে বেড় করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন। ধূলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাছুমা আক্তার বলেন,‘কলেজিয়েট স্কুলের কর্তৃপক্ষ রেজুলেশন করে তাদের জায়গায় আমাদের স্কুল করার অনুমতি দিয়েছেন।

আজ বিনা অজুহাতে তারা আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মারধর করে শ্রেণী কক্ষ থেকে বেড় করে দিয়ে বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা মেরে ভবনটি দখল করে নেয়।’ কলেজিয়েট স্কুলে অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সমঝোতার মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মানের অনুমতি দেয়া হয়। প্রয়োজন হলে তারা তাদের ভবন ব্যবহার করতে দেবেন। আমাদের ৫-৬শ শিক্ষার্থী রয়েছে। জায়গা সংকুলন না হওয়ায় পাঠদানের জন্য আমরা তাদের ভবনটি ব্যবহার করছি; দখল করিনি। তাদের আরও দুটো ভবন আছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল আমিন বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন, ঘটনা জেনে ব্যবস্থা নিবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো পড়ুন