কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নে জেলেদের জন্য বরাদ্দ ভিজিএফের চাল নিবন্ধিত জেলেদের না দিয়ে মৃত্যু জেলে ও এলাকায় থাকে না এমন জেলেদের নামে চাল উঠিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগে অভিযুক্ত ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সিদ্দিক হাওলদারের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে প্রশাসক।
মঙ্গলবার উপজেলা সমবায় অফিসার আব্দুল ফরিদ আহমেদ সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন।
এর আগে গত বুধবার (২৬ এপ্রিল) বঞ্চিত জেলেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলাপাড়া সাংবাদিক ফোরাম বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ওই অভিযোগ ভিত্তিতে গণমাধ্যমের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তদন্তের নামে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. সিদ্দিক হাওলাদার স্থানীয় জেলেদের কার্ড নিয়ে নিজের হাতে সাদা কাগজে নাম লিখে তার পছন্দের লোকদের মাঝে চাল বিতরণ করেন। এছাড়াও মৃত জেলেদের নামেও চাল নিয়ে আত্মসাৎ করেন। স্থানীয় জেলেরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকিও দেয়া হয়।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সিদ্দিকী হাওলাদার জেলে জামার সিকদার কে প্রাণনাশের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন, এ ঘটনায় জেলে জামাল শিকদার ৬ মে মহিপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে যা জিবি নং-২২৫।
এছাড়াও ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সিদ্দিক হাওলদার ৪০ দিনের কর্মসূচির প্রকল্পে নয়-ছয় ও টাকা লুটপাট, শ্রমিকের বদলে ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ করে নিজ মোবাইল নম্বর সহ তার স্ত্রী, ভাই, আত্মীয়দের শ্রমিক বানিয়ে কয়েকটি মোবাইল নম্বর উক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই অভিযোগেও তদন্ত চলছে।
ধুলাস্বার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম বলেন, আমার পরিষদের বেশিরভাগ মেম্বার পুরানো হওয়ায় তারা সিন্ডিকেট করে জেলেদের চাল আত্মসাৎ করছে বারবার বলার পরও এগুলোর কোনো প্রতিকার করতে পারছি না। পরে আমি ইউএনওকে অবহিত করেছি, তিনি একবার এসে নিজে বিতরণ করেছেন। তিনি যাওয়ার পর আবার একই সমস্যা তৈরি হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা সমবায় অফিসার ফরিদ আহমেদ বলেন, তদন্ত চলছে, কিছুটা সত্যতা পাওয়া গেছে, তদন্তের স্বার্থে সবকিছু বলা যাচ্ছে না।