ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগরের পশ্চিম চরমোল্লাজী (আজাহার রোডের ব্রিজ সংলগ্ন) গ্রামের মাও: মো. ইয়াছিন তার নিজের রেকর্ডীয় জমিতে মাদ্রাসার নতুন কক্ষ (হেফজ খানা) নির্মাণ করতে গেলে কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার মৃত ছাদেকের ছেলে মো. মহিউদ্দিন এবং মৃত মাহমুদুল হকের ছেলে দুলাল ও মানিকের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের পশ্চিম চরমোল্লাজী গ্রামের মাও মোঃ ইয়াছিন পূর্ব চরউমেদ মৌজার ৭৫১ নম্বর খতিয়ানের ২১৮৩ নম্বর দাগ ভূক্ত ১০ শতাংশ জমি ১৯৯০ সনের ২০ মার্চ রেকর্ডীয় সূত্রে মালীক হয়ে ভোগ দখল করে আসছে। উক্ত জমিতে ২০২০ ইং সনে একটি নুরানি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত করেন তিনি।প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাদ্রাসাটি সুনামের সহিত পাঠ দান চলছে।
মাদ্রাসার পরিচালক মাওঃ মো. ইয়াছিন বলেন, নুরানি মাদ্রাসা সংলগ্ন তার রেকর্ডীয় জমিতে একটি ঘর (হেফজ খানা) নির্মানের উদ্যোগ নিয়ে ইট বালি ও সিমেন্ট এনে কাজ শুরু করলে ঘর নির্মান কাজে বাঁধা দেয় ওই এলাকার মৃত ছাদেকের ছেলে মোঃ মহিউদ্দিন এবং মৃত মাহমুদুল হকের ছেলে দুলাল ও মানিক।তারা বিভিন্ন অজুহাতে কাজ করতে বাধাঁ প্রদানের এক পর্যায়ে তাদের অত্যাচারে কাজ করে বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্যদের জানালে ওদের বিরুদ্ধে শালিস ফয়সালার ব্যবস্থা করেন। কয়েকবার তাদের সাথে বসা হলেও তারা কোন ব্যাখ্যা বা কিছুই দেখাতে পারেনি। শালিসগণের বিভিন্ন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারায় ধলীগৌরনগর ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ লোকমানসহ স্থানীয় শালিসগন মাদ্রাসার ঘর নির্মাণের জন্য অনুমতি প্রদান করেন। শালিসগণের কথামত পূণরায় কাজ শুরু করত গেলে তারা আবারো কাজ করতে বাঁধা দেয় এবং চাঁদা দাবী করে। এ ব্যাপারে শ্রীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে বলে জানান মাও: মো. ইয়াছিন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মহিউদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ওই জমির পিছনে আমাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তি রয়েছে।সেখানে খাস জমি আছে । আমাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তির সামনের খাস জমিতে তারা জোর করে ঘর তৈরী করতে গেলে আমরা ঘর উত্তোলনে বাধা দেই। বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই বসা হবে।