ভোলার লালমোহনে ঘূর্ণঝড় মোখা মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৯৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকগণ আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে মানুষ যাতে নিরাপদে থাকতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে কন্টোলরুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মোট ৫টি মেডিকেল টিম। উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষদের নিরাপদে নিয়ে আসার জন্য ২টি ট্রলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
লালমোহন উপজেলার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়নগুলো হলো মেঘনা পাড়ের ধলীগৌর নগর ও লর্ডহাডিঞ্জ এবং তেতুলিয়া পাড়ের বদরপুর ও পশ্চিম চরউমেদ। জনসচেতনতায় প্রত্যেকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে চলছে মাইকিং এবং সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকগণও করছেন বিভিন্ন প্রচারণা।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনামিকা নজরুল জানান, প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য এবং মানুষের জীবনের যাতে ক্ষতি না হয় তার জন্য বিভিন্ন প্রচার প্রচারণাসহ স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তত রয়েছে। তিনি আরো জানান, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেয়া মানুষদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও ৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্ধ পাওয়া গেছে।