বরিশালের বানারীপাড়ার সলিয়াবাকপুর ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গছে। এ ঘটনায় ১২ জুন সোমবার রাতে তার মা নার্গিস বেগম একই গ্রামের সোহাগ (২৩), মেহেদী (২৭) ও প্রবাসীর স্ত্রী রুবিনা আক্তার ছবিকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শাখারিয়া গ্রামের প্রবাসী শহিদুল ইসলাম শহিদের স্ত্রী রুবিনা আকতার ছবি (৩৮), তার সাথে প্রতিবেশী খোকন বেপারির স্ত্রী নার্গিস বেগমের সুসম্পর্ক রয়েছে। রোববার (১১ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রবাসীর স্ত্রী রুবিনা আক্তার ছবি বাসায় একা থাকার অজুহাত দেখিয়ে নার্গিস বেগমের দশম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া ওই মেয়েকে তার সাথে ঘুমানোর জন্য অনুরোধ করেন। মায়ের সম্মতিতে ছবির অনুরোধে তার ঘরে ঘুমাতে গেলে রাত ১২টার দিকে রুবিনা আক্তার ছবি ওই ছাত্রীকে ঘুম থেকে উঠিয়ে পরিকল্পিতভাবে একই গ্রাামের জলিল হাওলাদারের ছেলে সোহাগ (২৩) ও সায়েদ মোল্লার ছেলে মেহেদীর (২৭) হাতে তুলে দেন। এ সময় ওই ছাত্রী ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠলে ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিবেশী সেনাবাহিনীতে কর্মরত জাকির হোসেনের পরিত্যাক্ত বসতঘরে নিয়ে গিয়ে ওই দুই লম্পট তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ও তার ভিডিও ধারণ করে।
স্থানীয়রা জানায়, ওই পরিত্যক্ত ঘরের মালিক জাকির হোসেন সেনাবাহিনীতে চাকরি করার কারণে কর্মস্থলে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। গত তিন বছর আগে গ্রামের বাড়ির ওই বসতঘরসহ সম্পত্তি দেখাশোনা জন্য একই গ্রামের ইয়াছিন নামের এক যুবককে দায়িত্ব দেন। রুবিনা আক্তার ছবি ও ইয়াছিন পরিকল্পিতভাবে ধর্ষকদের এমন সহযোগিতা করে গরীব ওই মেয়েটির সর্বনাশ করায় এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। স্থানীয়রা লম্পটদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, লম্পট সোহাগ ও মেহেদী দুজনই সদ্য বিবাহিত এবং মাদক কারবারি ও বখাটে হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) এস এম মাসুদ আলম চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেয়ে থানায় মামলা নেয়া হয়েছে এবং ভিকটিমকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারেরও চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।