পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মধ্য নওমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফয়েজকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ফয়েজ স্কুলে গিয়ে একটি গাছে ওঠে। এই অপরাধে শিশুটিকে গাছ থেকে নামিয়ে বেধড়ক কিল, ঘুষি, লাথি মেরে এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরী রফিকুল ইসলাম। এ ঘটনার পর সারাদিন বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে রাখা হয় ফয়েজকে। বিকালে স্থানীয় একটি ফার্মেসী থেকে কয়েকটি বিষব্যাথার বড়ি কিনে দিয়ে ফয়েজকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। বাড়িতে গিয়ে ফয়েজ এ ঘটনায় বাবা মায়ের কাছে জানায়। মারধরের কারনে ফয়েজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত তৈরি হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবে হাটতে পারছে না। খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটছে। পরে রাত ৯ টায় ফয়েজকে বাউফল স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ফয়েজের বোন রোজিনা বেগম বলেন, আমার ভাইকে নির্মমভাবে মারধর করে আটকে রাখে রফিক।
আমি এ ঘটনার বিচার চাই। অবশ্য রফিক এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্কুলে এসে উচু একটি গাছে উঠেছে ফয়েজ। সে গাছ থেকে পড়ে গেলে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হতো। আমি বকাঝকা করে গাছ থেকে নামিয়ে সামান্য একটা থাপ্পর দিয়েছি। একটু শাসন করেছি। যেন দুষ্টুমি না করে। বাউফল থানার ওসি আরিচুল হক বলেন, অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।