আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বরগুনায় ৩৫ হাজার প্রাণী প্রস্তুত করা হয়েছে। শেষ সময়ে পশু যত্নে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। ইতোমধ্যে বরগুনার বিভিন্ন হাটে ও খামারে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। এ বছর জেলায় প্রায় ৫ কোটি টাকার পশু কেনাবেচা হতে পারে জানিয়েছেন জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ।
ইতোমধ্যেই জেলায় ৪৪ টি হাটে কোরবানিযোগ্য পশু বিক্রিয় করার জন্য তোলা হচ্ছে হাটে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছরের চেয়ে এবার প্রাণীর দাম বেড়েছে। এছাড়াও হাটে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যাপারিরাও কোরবানিযোগ্য পশু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার বাইরে থেকে বিভিন্ন ব্যাপারিরা কোরবানিযোগ্য পশু কিনে আনছেন।
খামারিরা নয়ন মৃধা জানান, লাভের আশায় তিন বছর আগে খামার গড়েছেন তিনি। তার খামারে মোট ২৫০টি ষাড় গরু রয়েছে। যার মধ্য ১৫০টি গরু কোরবানির বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে কিছু গরু বিক্রি করে ফেলেছে যদি গরুর দাম বর্তমান বাজারমূল্যে থাকে তাহলে খামারিরা লাভবান হবে।
সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের আজিজুল হক বলেন, ‘এবার কোরবানির জন্য দেশি প্রজাতির ৮ টি গরু পালন করেছি। পশু খাবারের দাম আগের তুলনায় দ্বিগুণ। সব মিলে একটি গরুর পেছনে যে ব্যয় হয় তা পুষিয়ে নিতে হিমশিম খেতে হবে।’
হাটে গরু কিনতে আসা মিজানুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, কোরবানি করার জন্য মাঝারি গরু খুঁজছি। এবছর গরু প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাম বেশি মনে হচ্ছে। যেহুত কোরবানি করতে হবে তাই বেশি দাম দিয়েই গরু কিনতে হচ্ছে।
হাবিবুর রহমান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, এ বছর হাটে পর্যাপ্ত সব ধরনের গরু উঠেছে। দাম কিছুটা বেশি। তবে বড় গরুর তুলনায় মাঝারি গরুর দাম তুলনামূলক কম রয়েছে। ভাবছি ১ লাখ টাকার মধ্য একটি মাঝারি গরু কিনবো।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন,‘এবার জেলায় কোরবানির প্রাণী প্রস্তুত আছে ৩৫ হাজার। জেলায় মোট চাহিদা রয়েছে ৩৪ হাজার প্রাণী। আশা করি, এই ঈদে প্রাণীর সংকট পড়বে না। এতে খামারি ও ব্যবসায়ী উভয়েই লাভবান হবেন।
তিনি আরো বলেন, রোগাক্রান্ত প্রাণী কিংবা কোরবানির অনুপযোগী প্রাণী কেনাবেচা না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া উপজেলা ভিত্তিক একটি করে মনিটারিং টিম গঠন করা হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রত্যেক উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।