পরিবার-পরিজনের সাথে উদযাপন শেষে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্নস্থানে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন ঈদ যাত্রীরা।
সকাল থেকে নগরীর নতুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড়। অগ্রিম টিকিট বুকিং এর কারনে টিকিট পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে অনেক যাত্রীকে। তবে কিছু কিছু বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। ঈগল পরিবহনের নতুল্লাবাদ কাউন্টারের স্টাফ মো: রাসেল বলেন, আমাদের ঈগল পরিবহনের বাসগুলো ঈদ যাত্রার টিকিট আগেই বুকিং হয়েছে। আজ মোটামুটি ভালোই যাত্রীদের চাপ রয়েছে।
অন্যদিকে বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকা ও চাঁদপুরের লঞ্চেও শুরু হয়েছে যাত্রীদের ভিড়। আজ বরিশাল থেকে ৭ টি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রায় প্রতিটি লঞ্চের কেবিনই বুকিং হয়েছে বলে জানান লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি কেবিনেই ২ থেকে ৩শ’ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার করেছেন লঞ্চ যাত্রীরাও।
সুন্দরবন-১৬ লঞ্চের স্টাফ ইমাম বলেন, আজ মোটামুটি ঈদ যাত্রীদের চাপ শুরু হয়েছে। আগামীকাল থেকে যাত্রীদের বেশি চাপ শুরু হবে বলে আশা করছি। অন্যদিকে ঈদ যাত্রীদের সেবায় নৌ পুলিশের দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও পুরো লঞ্চ টার্মিনালে কোন পুলিশ সদস্যকে দেখা যায় নি। তবে নদী বন্দর ভবনের নিচে নৌ পুলিশের এক সদস্যকে অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল সদর নৌ থানার ওসি আব্দুল জলিলের কাছে জানতে তার অফিসে যাওয়া হলে তাকে পাওয়া যায়নি এমনকি তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার রিং দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।