ভোলার লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ভূমি করের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, কর আদায়ের ভূয়া রিসিট প্রদান ও ভূমি মালিকদের হয়রানিকরণসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে অফিসটি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এসময় অফিসের সামনে সেবা নিতে আসা কয়েকজন ভূমি মালিক কে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এসময় আবুল কাশেম, বেল্লাল ও মাওলানা ছালাউদ্দিনসহ কয়েকজন ভূমি মালিক বলেন, ভূমি কর দিতে আসলে পরিমাণের বেশি টাকা না দিলে কর নেননা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ। তাই হয়রানি থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে ২০/৩০ টাকার ভূমি কর এক হাজার টাকা করে দিয়ে রিসিট নিয়েছেন তারা। এছাড়াও ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের তদন্তে টাকা না পেয়ে মনগড়া প্রতিবেদন দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করেন ভূমি মালিক বেল্লাল। মাওলানা ছালাউদ্দিন নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক বলন, তার এক আত্মীয়ের ভূমির কর দিতে এসে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কে এক হাজার টাকা দিলেও পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে সে। তা দিতে অস্বীকার করায় রীতিমতো অপমানিত হয়ে ভূমিকর পরিশোধ ছাড়াই বিদায় নিতে হয়েছিল তাকে। মহিউদ্দিন নামে আরেক ভূমি মালিক বলেন, গত ২৬ জুলাই ভূমি অফিসে ভূমি কর পরিশোধ করি। এসময় ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কথামত ৩০ টাকার ভূমি করের জন্য এক হাজার টাকা দিলেও আমাকে কোড বিহীন ভূয়া রিসিট দেয়া হয়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও পাওয়া যায়নি তাকে।
লালমোহন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান মাহমুদ ডালিম বলেন, ইউনিয়ন ভূমি সহকারীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভূমি মালিক ও স্থানীয় সচেতনমহলের দাবি, কোনো ভোগান্তি ছাড়া ভূমি সেবা পেতে অবিলম্বে লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ কে অপসারণ করা হোক।