1. admin@dipkanthonews24.com : admin :
কলাপাড়ায় পিপিআর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দু’শতাধিক ছাগলের মৃত্যু - দ্বীপকন্ঠ নিউজ ২৪
শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
তালতলীতে লাইফবয়া বিতরণী কার্যক্রম পরিদর্শন পটুয়াখালী -২ আসনে ৪ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র জমা মনপুরায় মোকাদ্দেছা-কাশেম ফাউন্ডেশন কর্তৃক মেধাবৃত্তি প্রদান বরগুনায় কুকুর হত্যার অভিযোগে তিনজনের নামে আদালতে মামলা এমপি শাওনকে বরন করতে নাগরিক সংবর্ধনায় জনতার ঢল বোরহানউদ্দিনে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে মানুষের ঢল লালমোহনে এমপি শাওনকে নাগরিক সংবর্ধনা সন্তানরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে জাতীর কল্যাণে এগিয়ে আসবে- অধ্যক্ষ আবুল হাশেম মহাজন মনপুরায় মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত উপকুলীয় এলাকায় দুর্যোগ সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

কলাপাড়ায় পিপিআর ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দু’শতাধিক ছাগলের মৃত্যু

এস এম আলমগীর হোসেন, কলাপাড়া
  • প্রকাশিত : সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩
  • ৮১ বার পঠিত

এস এম আলমগীর হোসেন,কলাপাড়া

কলাপাড়ায় ভাইরাস জনিত রোগ পিপিআর (পেষ্টি ডেস পেটিটিস ইন রুমিন্যান্টস) এ আক্রান্ত হয়ে অন্ততঃ দুই শতাধিক ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। বিজ্ঞানীদের ভাষায়,এটি একটি মরবিলি ভাইরাস। রোগটি ১৯৪৩ সালে প্রথম দেখা যায় ,আইভরিকোষ্টে। সেই দেশে ভাইরাসটিকে কাটা নামে পরিচিত ছিল। চীনে ২০০৭ সালে এবং মরোক্কোতে ২০০৮ সালে এ ভাইরাসটি সনাক্ত হয় । এছাড়া বাংলাদেশে ১৯৯৩ সালে মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া জেলায় রোগটি মহামারি হিসিবে দেখা দেয় এর পর থেকে প্রতি বছর এ রোগের কারনে দেশে ছাগল এবং ভেড়ার মৃত্যুও খবর পাওয়া যায় । খামারীদের অসচেতনতাই এর মৃত্যুর প্রধান কারন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চিকিৎসকদের মতে’ বর্ষা মৌসুমে সাধারনত এ ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়। গত দু’সপ্তাহে কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অন্ততঃ সহ্রাধিক ছাগল এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মারা গেছে অন্ততঃ দুই শতাধিক ছাগল। এ রোগের প্রধান লক্ষন মুখ থেকে লালা পড়া, সাথে সাথে পাতলা পায়খানা।

এসময় ছাগল কিংবা ভেড়া কোন খাবার গ্রহন করে না। শরীরে এর তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী থাকে। তবে এ ভাইরাস ছাগল কিংবা ভেড়া’র বেশী হয়। ভাইরাসটি বাতাসেও ছড়াতে পারে। ফলে রোগাক্রান্ত হবার ৪/৫ দিনের মধ্যে ছাগলটি মারা যায়। ফলে খামারিরা ছাগল নিয়ে পড়েছে বিপাকে।

এ ব্যাপারে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের খামারী মো.আনোয়ার হোসেন জানান, তার খামার থেকে ইতিমধ্যে তিনটি ছাগল মারা গেছে। ছাগল গুলোর মুখ থেকে লালা পড়ে,সাথে পাতলা পায়খানা।

এসময় ছাগল গুলো কোন খাবার গ্রহন কওে না। তার খামারে আরো পাঁচটি ছাগল চরম ভাবে আক্রান্ত। তবে ভালো গুলো অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

একই ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের আবদুল জলিল হাওলাদার জানান, পিপিআর ভাইরাসে তার ৮টি ছাগল মারা গেছে। এ রোগটি সম্পর্কে তার জানা ছিল না।তার খামারের বাকী ছাগল গুলো বিক্রি করে দিয়েছেন।

একই গ্রামের পান্না নামের এক খামারী জানান, ছাগল পালন নিয়ে তার অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। রোগাক্রান্ত হলে কোন পরামর্শ যেমন পাওয়া যায় নাা,তেমনি প্রতিষেধকের কোন ব্যবস্থা নাই । পিপিআর ভাইরাসে তার পাঁটি ছাগল মারা গেছে।

উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.শাহআলম জানান, পিপি ভাইরাস দমনে প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে । এটি বাতাসেও ছড়ায়, ফলে বছরে দু’বার এর প্রতিষেধক দেয়া হলে নব্বই ভাগ ছাগল সুরক্ষিত থাকতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো পড়ুন
error: Content is protected !!