1. admin@dipkanthonews24.com : admin :
পটুয়াখালীতে বিয়ের প্রলোভনে বাড়িতে এনে পালিয়েছে যুবক, অনশনে তরুণী - দ্বীপকন্ঠ নিউজ ২৪
মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন

পটুয়াখালীতে বিয়ের প্রলোভনে বাড়িতে এনে পালিয়েছে যুবক, অনশনে তরুণী

আবদুল আলীম খান (আকাশ),পটুয়াখালী 
  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৬৮ বার পঠিত

আবদুল আলীম খান (আকাশ),পটুয়াখালী 

পটুয়াখালীতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে (সদ্য তালাকপ্রাপ্ত) স্বামীর বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন এক তরুণী। বুধবার (৯আগস্ট) বিকেল থেকে সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের বানিয়াকাঠী গ্রামের (সদ্য তালাকপ্রাপ্ত স্বামী) মোঃ আবুল হোসেন তালুকদারের ঘরে এসে অনশনে বসেছেন তিনি। আবুল হোসেন তালুকদার ওই গ্রামের মৃত শাহআলম তালুকদারের ছেলে। অন্যদিকে, অনশনে বসা তরুণী একই গ্রামের মোঃ ইউসুফ সিকদারের মেয়ে। এদিকে (সদ্য তালাক প্রাপ্ত স্বামী) আবুল হোসেন তালুকদার ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন।
তরুণী জানায়, কিছুদিন পূর্বে তালাক হয় তার। এরপর ওই তরুণী (তানজিলা) চাকরির উদ্দেশ্যে তার বোনের কাছে ঢাকায় চলে যান। এরপর থেকেই মোবাইলে আবারও কথা শুরু হয় আবুল হোসেন ও তানজিলার। কথার একপর্যায়ে আবুল হোসেন ওই তরুণীকে প্রস্তাব দেয় সবকিছু ভুলে আবারও ঘরে তোলার। এমনকি তার (আবুল হোসেনের) পরিবার না মানলে আলাদা ঘর সংসার করারও প্রতিশ্রুতি দেয় এই আবুল হোসেন। এরপর ওই তরুণীকে আবুল হোসেন ঢাকা থেকে প্রথমে আসতে বলেন তাদের পাশের ঘরে অর্থাৎ আবুল হোসেন তালুকদারের পাশের ঘরে। তার (আবুল হোসেনের) উদ্দেশ্যে ছিলো সেখান থেকে মানুষজন আসলে তাদের আবার বিয়ে পড়িয়ে দিবে। একসময় রাজি হয়ে যায় তানজিলা। এরপর ঢাকা থেকে তাদের (আবুল হোসেনের) বাড়িতে আসার জন্য বিকাশের মাধ্যমে ৭০০ টাকা ভাড়াও পাঠায় আবুল হোসেন। কথামতো সকল প্রস্তুতি নিয়ে ঢাকার সদরঘাট থেকে পটুয়াখালী আসার উদ্দেশ্যে লঞ্চে উঠেন তানজিলা। লঞ্চ মাঝামাঝি আসার পরে আবারও ওই তরণীকে (তানজিলাকে) কল করেন আবুল হোসেন। তখন জানায়, তাদের (আবুল হোসেনের) পাশের বাসায় কেউ নেই, তারা ঢাকা গেছেন। তাই সে ঘরের পরিবর্তে যেন তার চাচার ঘরে উঠে অর্থাৎ আবুল হোসেনের চাচা ফারুক তালুকদারের ঘরে উঠে। কথামতো গত শনিবার (৫ আগস্ট) তার (আবুল হোসেনের) চাচার ঘরে উঠে এই তরুণী। এরপরই শুরু হয় আবুল হোসেনের তালবাহানা। মোবাইলে কথোপকথনের এ সংক্রান্ত কিছু অডিও রেকর্ড এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
এদিকে ওই তরুণী তাদের কথপোকথনে অডিও রেকর্ড শুনিয়ে আরও বলেন, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমাকে নিয়ে এসেছে। তার কথামতো আমি সবকিছু ছেড়ে চলে এসেছি। আমার আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। এখন আমাকে মেনে না নিলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
প্রসঙ্গত, আবুল হোসেন তালুকদার ও তানজিলা আক্তারের প্রায় আড়াই বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।
এ বিষয়ে একাধিক স্থানীয়রা জানান, আমরা অডিও রেকর্ড শুনেছি। সেখানে মেয়েটিকে (তানজিলাকে) আসতে বলেছে আবুল হোসেন। তার কথামতো মেয়েটি যেহেতু এসেছে, তার (আবুল হোসেনের) মেনে নেওয়া উচিত। আমরা চাই প্রশাসন তাদের মিলিয়ে দেক। যেন তারা আবারও সংসার করতে পারে।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো পড়ুন
error: Content is protected !!