1. admin@dipkanthonews24.com : admin :
ভোলায় ২০ বছর পর জলাবদ্ধ মুক্ত হলো ৫০০ একর ফসিল জমি - দ্বীপকন্ঠ নিউজ
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বাউফল-দুমকি মহাসড়কে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের অবরোধে আহত ২৫জন দুমকিতে ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল সরকারি জনতা কলেজ ও পবিপ্রবি ক্যাম্পাস লালমোহনে জমি নিয়ে মারামারির একদিন পর হার্ট এ্যাটাকে বৃদ্ধের মৃত্যু বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যা সকলকে নিয়ে স্মার্ট শহর গড়ে তোলা হবে – এমপি শাওন লালমোহন পৌরসভার নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ডে আলোচনায় জসিম উদ্দিন ইকবাল লালমোহনে কোস্ট ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট লার্নিং শেয়ারিং সভা বাউফলে পানি নিস্কাশনের অভাবে ৮ শত হেক্টর আমনের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ কলাপাড়ায় দালালদের দাপটে অসহায় রোগী, ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিকের মালিকদের সতর্ক লালমোহনে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের স্মরণে দোয়া মোনাজাত

ভোলায় ২০ বছর পর জলাবদ্ধ মুক্ত হলো ৫০০ একর ফসিল জমি

ইব্রাহিম আকতার আকাশ,ভোলা:
  • প্রকাশিত : বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ১২৮ বার পঠিত
Spread the love
ইব্রাহিম আকতার আকাশ,ভোলা:
ভোলা সদর উপজেলার ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের সদুরচর গ্রামে ৫০০ একর ফসিল জমি প্রায় ২০ বছর ধরে পানির নিচে তলিয়ে থাকার পর কৃষকদের দুর্ভোগ লাগব করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনে স্থায়ী সমাধান পেলেন কৃষকরা। স্থায়ী এ নিষ্কাশনের মাধ্যমে দীর্ঘ ২০ বছর পর জলাবদ্ধতার কবল থেকে রক্ষা পেল কৃষকদের ৫০০ একর ফসিল জমি পানিবন্দি থেকে মুক্ত পেলো ১০ হাজার বাসিন্দা।
বুধবার (১৬ আগষ্ট) সকালে ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদের নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইউনুস মিয়া সরেজমিন পরিদর্শন শেষে পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থায়ীভাবে ড্রেন নির্মাণ করার জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন।
আগামীকাল থেকে ওই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করবেন।
সদুরচর গ্রামের কৃষক মো. মুনাফ আলী জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে সদুরচর গ্রামের হাওলা বিলের প্রায় ৫০০ একর ফসিল জমি জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে ছিল। পানি নামার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। বছর দশেক আগে স্থানীয় কৃষকরা নিজ উদ্যোগে ছোট্ট একটি খাল খনন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু মাস দুয়েক পর সেটিও বন্ধ হয়ে যায়।
আব্দুল হান্নান নামে আরেক কৃষক জানান, হাওলা বিলে প্রায় ৫০০ একর ফসলি জমি আছে। এসব জমিতে বছরে তিনটি ফসল ফলতো। এ আবাদেই এলাকার কৃষকের আর্থিক সমৃদ্ধি আসতো। ২০ বছরের বেশি সময় ধরে এসব জমি জলাবদ্ধতায় ডুবে আছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয় কৃষকরা একাধিকবার জেলা প্রশাসক ও জেলা কৃষি অধিদপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু কোথা থেকেও আশাব্যঞ্জক কোনো সাড়া তারা পাননি।
ষাটোর্ধ বিবি মনেজা খাতুন বলেন, হাওলা বিলের পানির কারণে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তারা দুর্ভোগে ছিলেন। বর্ষার সময় এ দুর্ভোগ আরও বাড়ত। পঁচা পানির গন্ধে তারা অতিষ্ঠ। শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতো। দীর্ঘ ২০ বছর পর অবশেষে তারা একটি স্থায়ী সমাধান পেলেন।
৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম জহির জানান, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে হাওলা বিলের প্রায় ৫০০ একর ফসিল জমি পানির নিচে তলিয়ে ছিল। যার কারনে প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি ছিল। ইউপি নির্বাচনের সময় ওই গ্রামের একটি উঠান বৈঠকে তিনি কৃষকদের কথা দিয়েছিলেন, ভোটে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে কৃষকদের এ দুর্দশা দূর করবেন। সেই কথা রাখতেই তিনি এ বিষয়টি এমপি তোফায়েল আহমেদকে জানান এবং এর স্থায়ী সমাধান করে দেন।
ভোলা সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইউনুস মিয়া সাংবাদিকদের জানান, হাওলা বিলে কৃষকদের ৫০০ একর ফসিল জমি পানির নিচে তলিয়ে আছে ২০ বছর ধরে। এ সংবাদটি স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে তোফায়েল আহমেদ জানতে পারে। এরপর এমপি এ জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ড্রেনের ব্যবস্থা করে দেন। এছাড়াও যে ব্যক্তির জমির ওপর দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করা হবে তাকে ৩ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই ড্রেন নির্মাণ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। যার ফলে কৃষকরা এখন থেকে জমিতে চাষাবাদ করতে পারবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আরো পড়ুন
error: Content is protected !!