ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন মৃত জয়নাল মোল্লার জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে জয়নাল মোল্লার নাতি মোঃ সেলিম বাশার সবুজের সংবাদ সম্মেলন, সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,আমার দাদা মৃত জয়নাল মোল্লা ১৯৬৫ সালে পূর্ব-পাকিস্থানের মৃত. সুরেন্দ্রনাথ মন্ডলের সঙ্গে বিনিময় করে ফিলিপনগর মৌজার ৩০৯৪ ও ৩০৯৭ দাগে ঘর বাড়ি করে বসবাস করে আসছি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ হতে ১৯৭৬ সালে রেকর্ড কার্যক্রম চলে এসময় মৃত জয়নাল মোল্লা ওই বিনিময়ের দলিলাদি উপস্থাপন করেন, দলিলাদি দেখে রেকর্ড অধিভুক্তকরি ১০০০০ টাকা চান, সেসময় মৃত জয়নাল মোল্লা ও তার পরিবার চরম দারিদ্রতার সহিত মানবেতর জীবন যাপন করেন, ফলে ১০০০০ টাকা দেয়ার মত সামর্থ না থাকায় জমি রেকর্ড ভুক্ত হয় নাই। ১৯৯৪ সালে ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রি কলেজ স্থাপন কালে এই জমি থেকে ৩০ শতক জমি দান হিসেবে দান হিসেবে দেয়া হয়। পরে ২০০২ সালে আমার দাদা জয়নাল মোল্লা মৃত্যু বরন করেন,এবং পরবর্তী সময়ে ওই জমির খাজনা খারিজ দেয়ার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে জানান ,এই জমি ভিপি খতিয়ানে চলে গেছে,এই জমি বিক্রয় বা হস্তান্তর যোগ্য নয়, অথচ ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রি কলেজ এর প্রিন্সিপাল, কলেজের সম্পত্তির দাবিতে ওই দুটি দাগের সম্পূর্ন জমি দখলের উদ্যেশ্যে খুঁটি গাড়তে আসলে আমরা বাধা প্রদান করি, ফলে কলেজ কর্তৃপক্ষএর সঙ্গে বার বার ঝামেলা সৃষ্ঠি হয়, এবং যেকোনো সময় খুন জখম হতে পারে,তাই আমরা সমাধানের উদ্যেশ্যে ২০১৩ সালে মহামান্য কুষ্টিয়া জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করি যার নং ৪০২/২০১৩ এবং এখনও মামলা চলমান, কিন্তু মহামান্য আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রি কলেজ এর সম্মানিত প্রিন্সিপাল মোঃ আবুল মান্নান বার বার সীমানা নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তুতি নেন। আমার বাপ চাচা ও ভাই বোন মিলে প্রায় ৩০ জন সদস্য এই জমির ওপর ঘরবাড়ি তৈরী করে বসবাস করে আসছি,আমরা খুব অসহায়ত্বের সঙ্গে এখানে বসবাস করে আসছি, এমতা অবস্থায়,কোনো উপাই না পেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি গোচরের উদ্যেশ্যে এই সংবাদ সম্মেলন করি। এই বিষয়ে ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু তাহের স্যার বলেন কলেজ স্থাপন কালে আমি উপস্থিত ছিলাম, এরকম একটি অমানবিক কার্যক্রমের জন্য আমরা লজ্জিত, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ নঈম উদ্দিন সেন্টু সাংবাদিকদের জানান এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চায়। পরিশেষে কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রিন্সিপাল স্যার মোঃ আব্দুল মান্নান সাহেব মুঠো ফোনে জানান আমি কলেজের কমিটির অনুমতি ছাড়া কোনো কথা বলবো না। কলেজের সভাপতি মহোদয় মুঠোফোনে জানান কলেজের সঙ্গে করো কোনো বিরোধ নেই। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জানান জমি ভিপি খতিয়ানে রয়েছে।