মাহমুদ লিটন, লালমোহন
ভোলার লালমোহনে বিদ্যালয়ের জমি বিক্রি ও স্বজনদের দিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিকক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি পূর্ব চতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মফিজুল ইসলাম খোকন।
গত ১৫ অক্টোবর ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. ছালাউদ্দিন এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে বলা হয়, স্থানীয় ফারুক মাঝির কাছে ৪ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। যার মধ্যে ৩ শতাংশ স্কুলের জমি। এছাড়া তার ভগ্নিপতি জামাল হোসেনকে দিয়ে পূর্ব চতলা কমিউনিটি ক্লিনিকের সাড়ে তিন শতাংশ জমি জোর পূর্বক ভোগ করান। এছাড়া স্কুলের জমির উপর বিভিন্ন গাছ ও শুপারি ভোগ করেন খোকন ও তার আতœীয়রা। এ নিয়ে ম্যানিজিং কমিটির সদস্যরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে হুমকি ধামকি প্রদান করেন। তাই স্কুল ও কমিউনিটি ক্লিনিকের জমি ফিরে পেতে ছালাউদ্দিন নামে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ক্লিনিকের সভাপতি ইউএনও কাছে এসব জমি উদ্ধারের জন্য লিখিত অভিযোগ দেন।
স্কুলের জমির ক্রেতা ফারুক মাঝি বলেন, এসব জমি স্কুলের, তা আমি জানতাম না। আমার কাছে গোপন রেখে বিক্রি করা হয়। জমি মাপার পর আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। এখন আমার টাকা ফেরত দিলে ওই জমি আমি দিয়ে দিব।
অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মফিজুল ইসলাম খোকন জানান, আমি কোন জমি বিক্রি বা দখলের সঙ্গে জড়িত না। একটি চক্র আমার সম্মান হানির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন যায়গায় অভিযোগ দিচ্ছে।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুল বলেন, এসব ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।