তৌহিদ হোসেন উজ্জ্বল , বাউফল
পটুয়াখালীর বাউফলে খালার জমি হস্তাগত করার লক্ষ্যে মৃত খালাকে মা বানিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর মৌজার জে এল নং ৮৬ এসএ ৩৪১,৩৩৯,৩৩৪,৩৩৮,৭২,৭৩ খতিয়ানে এই সাব-কবলা দলিল তৈরী করা হয়েছে। উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের যোগসাজসে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, গেদু বিবি ও লালসন বিবি নামের আপন দুই বোনকে বিয়ে করেছিলেন জবেদ আলী মাতব্বর। এর মধ্যে লালসন প্রথম স্ত্রী এবং গেদু বিবি ২য় স্ত্রী। গেদু বিবি নি:সন্তান অবস্থায় মৃত্যু বরন করায় তাহার ওয়ারিশ থাকেন তার বড় ভাই ইসমাইল ও স্বামী জবেদ আলী মাতব্বর। এদিকে লালসন বিবি এক ছেলে চান মিয়া ও মেয়ে আকুজানকে রেখে মৃত্যু বরণ করেন। এরপরে লালসন বিবির ছেলে চান মিয়া মাতব্বর তার মায়ের নাম গোপন রেখে গেদু বিবি অর্থাৎ খালাকে মা দেখিয়ে নিজের মেয়ে শাহিনুর বেগমের নামে ২০১৩ সালে দলিল সম্পাদন করে। ওয়ারিশ সূত্রে গেদু বিবি চান মিয়ার খালা এবং সৎ মা। গেদু বিবির মোট জমির চার ভাগের এক ভাগ স্বামী জবেদ আলী ও বাকি জমির মালিকানা পান তার ভাই ইসমাইল। স্বামী জবেদ আলী তার অংশের জমি গেদু বিবির ভাই ইসমাইলের ছেলেদের কাছে বিক্রি করে দেন। এরপরে শাহিনুরের স্বামী মাহতাব হোসেন খান নাম পরিবর্তন করে দলিল দেয়া জমি জোর পূর্বক দখল করার জন্য গেদু বিবির ভাইয়ের ছেলেদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি করে। গেদু বিবির ভাইয়ের ছেলে ও তাদের সন্তানদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত মামলা দিয়ে হয়রানী করছে মাহাতাব। এ পর্যন্ত মাহতাব গেদু বিবির ভাইর ছেলে ও নাতিদের বিরুদ্ধে ৭ টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন এবং ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে একাধীকবার হামলা চালায়। গেদু বিবির ভাইয়ের ছেলে আবদুল জব্বার খান বলেন, ওয়ারিশ সূত্রে আমার ফুফুর (গেদু বিবি) জমি আমার বাবা (ইসমাইল) পায় এবং আমার ফুফার জমিও আমাদের কাছে বিক্রি করে দেন। সেই জমি আমার ফুফুকে মা দেখিয়ে দলিল করে জোরপূর্বক দখল করে আসছে লালসন বিবির নাতনি জামাই মাহাতাব খান। আমরা সেই জমি বুঝাইয়া দিতে বললে, মাহতাব আমাদের ওপরে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন নিয়ে বিভিন্ন সময় আমার সন্তানদের ওপর হামলা চালায়। এ বিষয়ে মাহাতাব হোসেন খান অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমরা কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করি নাই। তবে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। একাধিকবার শালিস বৈঠক হলেও কোন আপোস মিমাংসা হয়না। এ বিষয়ে নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহাসিন বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে সমস্যা রয়েছে। স্থানীয় তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারনে এ বিরোধ চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে বাউফল উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি হাফিজা হাকিম রুমা বলেন, এ অনিয়মের বিষয়ে সনাক্তকারী দায়ী। তবে আদালতের মাধ্যমে এটা নিস্পত্তি করা সম্ভব। #