আ.মান্নান তামিম,তজুমদ্দিন
ভোলার তজুমদ্দিনে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ডাকা উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশের মিছিলে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় ১৫ নেতা কর্মি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার দক্ষিণ খাশের হাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
দলীয় সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দেশব্যাপী বিএনপি জামায়াতে আগুন সন্ত্রাস ও হরতাল বিরোধী একটি উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ আয়োজন করে শম্ভুপুর ইউনিয়ন (দক্ষিন) আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে বিকেল ৫ টায় শম্ভুপুর দক্ষিন যুবলীগের একটি মিছিল খাশের হাট বাজার প্রদক্ষিন করে ভুমি অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ইউসুফ মিজির বাড়ির ভেতর থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে ইউসুফ মিজিসহ বিএনপি সমর্থক ৪০/৫০ জন বগি দা, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রসহ মিছিলকারীদের ধাওয়া করেন। এঘটনায় আহত হন আওয়ামী লীগের ১৫-১৬ নেতা কর্মি। পরে আহতদের ৯ জনকে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একজনকে ভোলা সদরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান বুধবার দুপুরে তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করেন।
এসময় তিনি আরো দাবী করেন, হামলাকারীরা ইঞ্জিনিয়ার নোমানের কর্মি সমর্থক। তারা বিএনপি জামায়াত কে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের মিছিলে হামলা চালিয়েছে। এসময় ১৫ নেতা কর্মিকে গুরুতর আহত করে এবং আমাদের তিনটি মোটর সাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। তারা এলাকায় বিএনপির লোকজন ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফয়দা হাসিলে ব্যস্ত রয়েছে। এঘটনায় তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন সমাবেশ ও মিছিলে বিষয়টি দলীয় নেতৃবৃন্দ অবহিত করেছিলো। অন্যকারো কোন কর্মসূচি নিয়ে কেউ অবহিত করেনি। ইঞ্জিনিয়ার নোমানের কর্মি ইউসুফ মিজির বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগের মিছিলে হামলা চালানো হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা শুনে খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।