মোঃ ছালাহ উদ্দিন,মনপুরা
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিন্মচাপটি ঘূর্ণীঝড় মিধিলি তে রুপ নিয়েছে। ঘূর্ণীঝড় মিধিলি দুপুর থেকে মধ্যরাতের মধ্যে উপকুলীয় এলাকায় আঘাত হানার সম্ববনা রয়েছে। ্উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিন্মচাপটি ঘূর্ণীঝড় আকারে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত নাগাদ বাংলাদেশে অতিক্রম করতে পারে বলে আশস্কা প্রকাশ করছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণীঝড় “মিধিলি” আতংকে মনপুরার দেড়লক্ষাধিক মানুষ।
ভোলার মনপুরা উপকূলে ঘূর্ণীঝড় মিধিলি এর প্রভাবে রাত থেকে ঝড়ো বৃষ্টি বইছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। মনপুরার দেড় লক্ষাধিক মানুষ ঘূর্ণীঝড় ঘূর্ণীঝড় মিধিলি আতংক ভুগছে। মেঘনা উত্তাল ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলায় মনপুরার সাথে ভোলা ও ঢাকার যোগাযোগারে একমাত্র মাধ্যম নৌপথে সকল লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এই উপকূলের দেড় লক্ষাধিক বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। শুক্রবার সকাল থেকে আকাশে কোন সূর্য দেখা যায়নি।এছাড়া মেঘনার পানি বাড়তে শুরু করেছে। বাতাসের তীব্রতা একটু বেড়েছে। জনমনে আতংক বিরাজ করছে।
এদিকে ঘূর্ণীঝড় মিধিলি এর প্রভাবে উপকূলে পানি উঠতে পারে এ আশঙ্কায় নিরাপদে বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সিপিপি কর্মীরা শুক্রবার সকাল থেকে মাইকিং শুরু কেেছন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাসিন্দাদের সর্তক করতে ও নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্র যেতে ও উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আ’লীগ লোকজন, সিপিপি কর্মীরা মাইকিং করছেন। মেঘনায় পানি আসতে আসতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতি মধ্যেই তারা প্রস্তুতিমূলক সভা করেছন। মিধিলি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন সকল প্রস্তুতি গ্রহন করেছেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বহী অফিসার জহিরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, ঘূর্ণীঝড়“ মিধিলি” মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুতি সভা করেছেন। ৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন আসার জন্য সিপিপি মাইকিং করছেন। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মেডেকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুকনো খাবার মজুদ করে রাখা হয়েছে। সমস্ত সাইক্লোন সেন্টারে খাবার ও পানির ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেড়ীর আশে পাশে ও চরের লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠনোর জন্য।