প্রিন্ট এর তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪, ২:৫০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারী ১৯, ২০২৪, ৭:৩২ পি.এম
কলাপাড়ায় স্বামী সম্পত্তি আত্মসাৎ অভিযোগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
এস এম আলমগীর হোসেন, কলাপাড়া
কলাপাড়ায় স্বামীর সম্পত্তি আত্মসাৎ করে স্বামীকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারি মোঃ মোতালেব হোসেন (৪০) বাদী হয়ে স্ত্রী মোসাঃ সাইয়েদাতুন নেছা (৩৬), তার বোন মোসাঃ কহিনুর বেগম (৪৯), বোনজামাই মোঃ শাহজাহান সিরাজী (৫৫), বোনজামাই মোঃ নুরুল ইসলাম (৪৮), বোন মোসাঃ মাকসুদা বেগম (৪২), বোনজামাই মোঃ আবু বকর সিদ্দিক (৪৫) কে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় মোঃ মোতালেব হোসেন উল্লেখ করেন যে, মোসাঃ সাইয়েদাতুন নেছার পূর্বেও বিবাহ গোপন রেখে অন্যান্য আসামীরা প্রতারনার মাধ্যমে বিগত ইং ০৮/০৮/২০০২ তারিখে এক লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্যে রেজিষ্ট্রি কাবিন মূলে আমার সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সংসার জীবনে এক ছেলে সানজিদুল ইসলাম মিহাদ (১২), এক কন্যা সারজিয়া ফারহান মুনা (১৯) জন্ম গ্রহন করেন। আমার সন্তানদের ভবিষ্যত সুখ শান্তির কথা চিন্তা করে আমার পৈত্রিক ও খরিদীয় জমি সরকার বাহাদুর অধিগ্রহন করলে ক্ষতিপুরনের টাকা উত্তোলন করে ও আমার গার্মেন্স ব্যবসার পুজি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা এডভোকেটস্ ক্লাচ করে তার বাবার মৃত্যুতে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত কলাপাড়া পৌরসভার রহমতপুর এলাকায় ৫ শতক জমির উপরে প্রায় ২০০০ স্কয়ারফুটের ৩ ইউনিট বিশিষ্ট তিন তলা ফাউন্ডেশনের ১ম, পাকা ভবন নির্মান করি। ভবন নির্মানের কিছুদিন পর থেকে আসামীদের কু-পরামর্শে ও সাহায্য সহোযোগীতায় আমার স্ত্রী কে ভুল বুঝিয়ে আমার সন্তানদের ভবিষ্যত ও আমার সাজানো গোছানো সংসার নষ্ট করার উদ্দেশ্যে আমার সহিত খারাপ আচরন শুরু করে। আমি তা বুঝিতে পাইয়া আমার ও আমার স্ত্রীর মাধ্যমে আত্মীয় স্বজনের বহুবার আপোষ ফয়সালার মাধ্যমে বিরোধ নিস্পত্তির চেষ্টা করি। আসামীদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য মোসাঃ সাইয়েদাতুন নেছা কে আমার সাথে মিমাংশা হইতে দেয় নাই। আসামীরা বিগত দিনে আমার স্ত্রী কে কু-পরামর্শ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে বার বার মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জেল খাটাইয়া আর্থিক ভাবে ক্ষতিসাধন করে। তাতে আমার ব্যবসা বানিজ্যের এবং আমার সন্তানদের পড়ালেখার ব্যাপক ক্ষতি হয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত ২২/১২/২০২৩ তারিখে আমার আত্মীয় স্বজন ও মোসাঃ সাইয়েদাতুন নেছাকে নিয়ে আমার বাসায় বিরোধ নিস্পত্তির জন্য বসিলে সালিশীদের সামনে সকল আসামীরা আমার সাথে অযথা কথা কাটা কাটি শুরু করে আমার গলায় ছুড়ি ধরে আমাকে খুন জখম সহ নানা ধরনের অস্বাভাবিক অপরাধের অভিযোগ এনে আমার নামে মামলা মোকদ্দমা করবে বলে হুমকি দিয়ে এক পর্যায় আমাকে শারীরিক ভাবে মারধর করে। এবং আমাকে আটকাইয়া সকল আসামীরা আমার থেকে জোড় পূর্বক ১০০ টাকা মূল্য মানের তিনখানা অলিখিত স্ট্যাম্পে তিনটি স্বাক্ষর নেয়। এবং আমার বুক পকেটে থাকা ৪৮,৫০০/- টাকা আসামীরা জোড় পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। উক্ত ষ্ট্যাম্প দ্বারা আমার নির্মিত পাকা ভবনের নিদাবী দলিল পত্র সৃষ্টি করবে এবং আমার সন্তানদের পিত্রী হারা করবে। আসামীরা আমাকে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করে ও বিভিন্ন ধরনের অপরাধের অভিযোগ এনে মামলা মোকদ্দমা করবে বলে হুমকি দিয়ে আমাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়া তাড়াইয়া দেয়। আসামীরা এই হুমকি দেয় যে, ভবিষ্যতে আমার নির্মিত ঘরের দাবি করলে আমাকে ছাব খুন করে লাশ গোপন করে ফেলবে। বর্তমানে আমি অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোসাঃ সাইয়েদাতুন নেছা বলেন, তার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, তার কোন সম্পত্তি নেই এখানে যা আছে সব আমার সম্পত্তি, পরে আপনার সাথে কথা বলবো বলে মোবাইল কল কেটে দেন।
###
Copyright © 2024 দ্বীপকন্ঠ নিউজ. All rights reserved.