পটুয়াখালীর বাউফলে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছেন এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষার্থী চলতি বছর দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। একটি বিষয়ে ফলাফল খারাপ করায় ওই শিক্ষার্থী আগামী বছর ফের পরীক্ষায় অংশগ্রহনের প্রস্ততি নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ওই মাদ্রাসার কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক শহিদুল ইসলামের কাছে সে প্রাইভেট পড়া শুরু করে। গত ৩০ জুন বিকালে প্রাইভেট পড়া শেষে ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীকে ছুটি দেয়া হলেও বিশেষ পড়ার অজুহাতে নির্যাতিত শিক্ষার্থীকে টেবিলে বসতে বলেন শিক্ষক শহিদুল। কিছুক্ষন পর ঘরের দরজা আটকে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় সে। ধস্তাধস্তির কারনে শিক্ষার্থীর শরীরে ক্ষত তৈরি হয়েছে। বিষয়টি কাউকে না বলার নির্দেশ দিয়ে শিক্ষার্থীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। পরে নির্যাতিত শিক্ষার্থী তার বাবা মাকে বিষয়টি জানানোর পর গ্রামের কয়েকজন মোড়ল শালিস মীমাংসার প্রতিশ্রæতি দেয়। শালিসে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হলেও শিক্ষার্থীর মা বলেন, আমি এই বিচার মানি না। পরে রোববার রাতে নির্যাতিত শিক্ষার্থীরা মা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #